আপনার জানার ও বিনোদনের ঠিকানা

‘আবার ক্ষমতাবান হয়ে উঠছে‌ন আমলারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮-২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদে আমলাদের ক্ষমতা ছিল অসীম। আমলারাই হয়ে উঠেছিলেন সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান। বিশেষ করে করোনার পর থেকে আমলাদের দাপট বেড়েছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ডিসি থেকে সচিব পর্যন্ত কেউই আমলাদের পাত্তা দিচ্ছেন না। শাসন ব্যবস্থার চাবি আমলারা হাতে তুলে নিয়েছিল। জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসকদের। সেখানে তারা প্রায়ই সংসদ সদস্যদের পাত্তা দিতেন না। কোনো কোনো সংসদ সদস্য এমনও অভিযোগ করেছেন যে, জেলা প্রশাসকরা তাদের ফোন পর্যন্ত ধরেন না৷’

উপজেলার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোনো ধরনের কথাই শুনতেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। আমলাতন্ত্রের বারবারন্ত নিয়ে জাতীয় সংসদেও একাধিকবার কথা হয়েছিল।

করোনার সময় সরকার কৌশলগত কারণে সচিবদেরকে জেলার দায়িত্ব দেন। ৬৪ জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদেরকে। যার ফলে রাজনীতিবিদরা ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, সচিব এই চেইনে সরকার পরিচালিত হতে থাকে। সেখানে রাজনীতিবিদ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মন্ত্রীরাও হয়ে পড়েন আলংকারিক।’

একজন প্রতিমন্ত্রী একনেকের বৈঠকে অভিযোগ করেছিলেন যে, সচিব তাকে ফাইলও দেন না। এরকম একটি বাস্তবতার কারণ ছিল যে, রাজনীতিতে সক্রিয় নেতৃবৃন্দ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। মন্ত্রিসভায় যারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তারা অনেকেই ছোট পর্যায়ের নেতা, স্থানীয় পর্যায়ের নেতা৷ কাজেই তাদের ওপর আমলাদের খবরদারি ছিল খুবই সহজসাধ্য বিষয়। কিন্তু ২০২৪ এর নির্বাচনের পর টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ এবং এই সরকার গঠনের পর রাজনীতিবিদদের প্রাধান্য দেখা যায়।

আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন। ফলে অনেকেই ধারণা করেছিল যে আমলাতন্ত্রের হয়তো ক্ষমতা সঙ্কুচিত হবে। বিশেষ করে কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে অনেক মন্ত্রী জায়গা পেয়েছেন, তারা মন্ত্রণালয়ের কাজ সম্পর্কে ভালো মতো ওয়াকিবহাল হয়েছেন। এরকম বিবেচনা থেকে অনেকে মনে করেছিল যে, আমলা নির্ভরশীলতা কমবে, কিন্তু সময় যত যাচ্ছে ততই আমলারা আস্তে আস্তে ক্ষমতার কেন্দ্রে জাকিয়ে বসছেন এবং আমলাদের ক্ষমতাকেন্দ্রে বারবারন্ত এত বেশি হচ্ছে যে, তারা আবার মন্ত্রীদের এবং রাজনীতিবিদদের ওপর এক ধরনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে।

আমলাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গত দেড় মাসের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, আমলারা মন্ত্রণালয় গুলোর নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া আমলারা মন্ত্রীদের ওপর খবরদারি করতে পারছেন সহজেই। এছাড়াও মন্ত্রিসভা যখন বর্ধিত করা হলো রাজনীতিবিদদের অর্থাৎ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রভাব আরও সঙ্কুচিত হয়েছে। নতুন মন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ে কাজ বুঝতে সময় নিবেন, এরকম বিবেচনায় আমলারা আরও ক্ষমতাবান হয়ে উঠবে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, আস্তে আস্তে মন্ত্রণালয়ে কর্তৃত্বের লড়াই দৃশ্যমান হচ্ছে এবং সেখানে নতুন মন্ত্রীদেরকে শুরুতেই আমলারা কোণঠাসা করার চেষ্টা করছেন এবং এই প্রক্রিয়ায় কেউ কেউ সফলও হচ্ছেন। সে জন্য অনেকেই মনে করছেন যে, আমলারা আবারও ক্ষমতাবান হয়ে উঠছেন। সরকার পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই চলে যাচ্ছে।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা উদ্বোধন’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার (ডিআইটিএফ) পর্দা উঠলো। রোববার (২১ জানুয়ারি’) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে মাসব্যাপী এ মেলার ২৮তম আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবার মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে। শুধু বর্জন নয়, এই নির্বাচন প্রতিহতের ডাক দিয়েছিল। নির্বাচনের আগে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা পর্যন্ত দিয়েছিল। কিন্তু

গ্রেপ্তারের ভয় ছাড়ছে না বিএনপি নেতাদের’ নিজস্ব প্রতিবেদক দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে অংশ নিতে শুরু করেছেন। তিন মাস আত্মগোপনে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছেন, তখনো নতুনভাবে গ্রেপ্তারের ভয়ে আছেন তারা। বিএনপির অভিযোগ, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আবারও নতুনভাবে ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় পুরোনো মামলায় নতুনভাবে আসামি দেখিয়ে আটকের ঘটনা ঘটছে। এমন অবস্থায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভয়ভীতির মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি কিংবা এলাকা ছাড়া। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি’) দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন প্রতিবাদ হিসেবে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। তারও আগে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি মহানগর ও জেলা পর্যায়ে একই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। কিন্তু পুলিশ মঙ্গলবার রাজধানীতে কোথাও কালো পতাকা মিছিল করতে দেয়নি বলে বিএনপির অভিযোগ। বরং ওইদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুনভাবে শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নতুনভাবে দায়েরকৃত ছয়টি মামলায় ৪৫৬ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ৭০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ওইদিন রাজধানীর উত্তরায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে এবং ধাক্কা দিয়ে জিপে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও তাকে পরবর্তী সময়ে পুলিশ ছেড়ে দেয়। সে সময় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ সংগঠনের ৪ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই দিনে বাগেরহাটের রামপালে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল থেকে দলটির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনিও কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছিলেন।’ বিএনপির অভিযোগ, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর বিরোধীদের মাঠে দাঁড়াতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নেতাকর্মীদের যাকে যেখানে পেয়েছে, গ্রেপ্তার করেছে। এখনো বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তল্লাশির নামে হামলা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকবর হোসেন এবং তার পুত্র সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রনির বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ পরিচয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। ওই পরিবারের অভিযোগ, এ সময় বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও ‘লুটপাট’ করা হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বন্দুকের নলে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর সরকারের তথাকথিত মন্ত্রি-এমপিরা এখন আরও বেসামাল কথাবার্তা বলছেন। অবৈধ সরকার বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিলে হামলা-নির্যাতন চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামে হামলা-ভাঙচুর করা হচ্ছে।’ বিএনপির নীতিনির্ধারকরা জানান, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে মাঠের রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। অনেকেই কারাগার থেকে ছাড়াও পেয়েছেন। হামলা-মামলা উপেক্ষা করে কৌশলে কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের তিন মাস পর গত ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকা ও জেলায় জেলায় কালো পতাকা মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় অনেককে। তাদের এ উপস্থিতি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। আবারও রাজপথে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে সরকারবিরোধী দলগুলো। কিন্তু গত ৩০ জানুয়ারি সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় অনেকের মধ্যে আবারও কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে পরবর্তী কর্মসূচি প্রণয়নে বিএনপি কিছুটা সময় নেবে। বিএনপির দপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ৪-৫ দিন আগে থেকে অদ্যাবধি মোট গ্রেফতার হন ২৫ হাজার ৬৪৪ জনের বেশি নেতাকর্মী। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন গণমাধ্যমকে বলেন, একতরফা ডামি নির্বাচন করেও স্বস্তিতে নেই অবৈধ সরকার। তাদের সবসময় পতনের আতঙ্ক তাড়া করছে। এজন্যই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জামিন না দিয়ে দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে অংশ নিতে শুরু করেছেন। তিন মাস আত্মগোপনে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন ধীরে ধীরে

রিং আইডির ব্যাংক হিসাব তলব

রিং আইডির ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সম্প্রতি ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়। একই

বেলকুচি উপজেলা ও পৌর বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত! 

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার”সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ৩০ মার্চ বিকালে স্হানীয় জিধুরী হাফেজিয়া মাদ্রাসা

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৫৬৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত মার্চ মাসে দেশজুড়ে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ৫৬৫ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১২২৮ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল’) সন্ধ্যায়