আপনার জানার ও বিনোদনের ঠিকানা

শীর্ষ সন্ত্রাসী যশোরের হাসান-মিজানের অস্ত্রের ভান্ডার ১৫ বছরেও উদ্ধার হয়নি

জেমস আব্দুর রহিম রানা: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসান- মিজানের মৃত্যুর ১৫ বছর পরও তাদের রেখে যাওয়া অস্ত্রের ভান্ডার উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন। ওই অস্ত্রগুলো রয়েছে যশোরে চাঁচড়া ইউনিয়নে ছোট নারায়ণপুরের নুরু গংদের দখলে। নুরুর নেতৃত্বে বড় নারাণয়পুর ও ছোট নারায়ণপুরে গড়ে তোলা হয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের হাতে জিম্মী হাজার হাজার মানুষ। ওই সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।

অভিযোগে জানা যায় , ২০০৯ সালে ৩ সেপ্টেম্বর ভোররাতে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ আহছান কবির হাসান ও তার ভাই মিজানুর রহমান মিজান নিহত হয়। বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে তারা ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী। হাসান- মিজান সন্ত্রাসী বাহিনী হিসাবে তারা ব্যাপক পরিচিত ছিল। এমন কোন অপরাধ ছিল না যা তারা করেনি।

তাদের মৃত্যুর প্রায় ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও পুলিশ হাসান মিজান বাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে পারেনি। হাসান মিজানের মৃত্যুর পর প্রথমে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধানের দায়িক্ত পান হাসানের বিয়াই লিটু। ভারতে প্রশাসনের হাতে আটক হয়ে লিটু নিহত হন। এরপর ওই বাহিনী প্রধানের দায়িক্ত নেয় চাঁচড়া ইউনিয়নে ছোট নারায়ণপুরের নুরু মিয়া। নুরুর সেকেন্ড ইন কমান্ড ওই গ্রামের ইমান ।

সূত্রের দাবি, যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসান-মিজান বাহিনীর দখলে থাকা বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে। যশোরে সন্ত্রাস ও চোরাচালানের শীর্ষে ছিল আহসান হাবীব ওরফে হাসানের নাম। হাসানের সঙ্গে তখন তাঁর ভাই মিজানের নাম যুক্ত হয়ে ওঁদের সিন্ডিকেটের নাম হয়েছিল হাসান-মিজান সিন্ডিকেট। ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোররাতে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ আহছান কবির হাসান ও তার ভাই মিজানুর রহমান মিজান নিহত হয়। এই জোড়া নিহতের পর হারিয়ে গেছে তাদের বাহিনীর দখলে থাকা বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র, অবৈধ সম্পদ, অবৈধ কোটি কোটি টাকা ও ওদের আস্থাভাজন সন্ত্রাসী ক্যাডাররা। যাদের সাথে এই দুই সন্ত্রাসী ভাইয়ের বিরোধ ছিল তারা যেন শুধু ওই মৃত্যুর অপেক্ষায় ছিল। হাসান মিজানের সহযোগী ও দায়িত্বপালনকারী সন্ত্রাসীরা আস্তে আস্তে বিভিন্ন শেল্টারে চলে যায়। আস্তে আস্তে শত সহস্র আগ্নেয়াস্ত্র বেমালুম গায়েব হয়ে যায়। এখন আর সেসব আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য হয়না কোথাও।

যশোর সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া শাড়াপোল মাঠে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ওই ঘটনা ঘটে বলে র‌্যাব জানায়। মারা যাওয়ার পর মিডিয়া কয়েক দিন এটা সেটা বলে ব্যস্ত থাকলেও হাসান মিজান সিন্ডিকেটের বিশাল নেটওয়ার্ক ও অস্ত্র ভান্ডার বেমালুম রহস্যে লুকিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরন মতে শুধু শঙ্করপুরেই হাসান মিজানে শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্রের মধ্যে ছিল নাইন এম এম পিস্তল (ইউএসএ), ছোট পিস্তল, কয়েকটি শর্টগান, অন্তত: বিশটি স্টেনগান প্রভৃতি।

অভিযোগ রয়েছে, পূর্ববাংলার চাঁনপাড়ার বাচ্চুর ভাই রশিদ, আখি, শঙ্করপুরের কমিশনার মনিরুল, চাঁচড়ার ওসিকার-রেজাউল, বেজপাড়ার শান্টু, লউজনির ফোর মার্ডার, মাহিদিয়ার কটা-খায়ের হত্যাসহ বিভিন্ন হত্যাকান্ডে এসব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল। এমনকি ভারতের কোলকাতায় সন্ত্রাসী মনা সাহ হত্যায়ও নাকি হাসান বাহিনী সক্রিয় ছিল।

আরো জনশ্রুতি আছে, হাসানের সাথে দেখা করতে গেলে অন্তত: আটটি ব্যারিকেড বা নিরাপত্ত্বা প্রহরায় কৈফিয়ৎ দিয়ে তবেই গুরুর দেখা মেলার সম্ভাবনা ছিল। নইলে নয়। সবার কাছেই থাকতো নানা আগ্নেয়াস্ত্র। এসব দেখা করতে যাওয়া লোকজন বলে বেড়ায় এখনো।

তাছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ, যশোর খুলনা সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় ছিল হাসানের আস্তানা। সেসব শেল্টারেও ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র। কথিত আছে সে দুটি নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল শ্রমজীবি মু্ক্তি আন্দোলন।

তবে বিএনপি বলা হলেও আদতে হাসান ছিল জাসদের রাজনীতিতে সক্রিয়। তবে তার ব্যাপক অপকর্মের জের ধরে জাসদ থেকে তাকে একসময় বহিষ্কার করা হয়। তবে ধারনা করা হয় পূর্ব বাংলার এক অংশের সাথে তার বেজায় দহরম মহরম ছিল্। তার চট্টগ্রাম ও ভারতেও ছিল কয়েকটি শেল্টার। এসব কারনে হাসান ও মিজান ই্েচছ করলেই টাকা ও আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করতে পারতো সহজে। তাছাড় সিন্ডিকেট পরিচালনায় লাইনম্যানদের কাছে অস্ত্র দিতে হোত মাল ও জনবলের নিরাপত্তায়। কথিত আছে হাসান পুলিশ ম্যানেজ করে ব্লাক সিন্ডিকেট পরিচালনা করতো। শার্শা, ঝিকরগাছা ও সদর থানায় নাকি তার মাসিক দেনদরবার ছিল।

পুলিশ বলছে, নিহত হাসান (৪২) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী। চোরাচালান চক্রের হোতা ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে যশোরের বিভিন্ন থানায় অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে।

যশোর কোতয়ালি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বেগ সে সময় জানান, হাসান গোয়েন্দা পুলিশের তালিকায় যশোরের তালিকাভুক্ত ১ নম্বর সন্ত্রাসী ছিল।

হাসানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম মুকুল হত্যাকাণ্ড ও উদীচী বোমা হামলায় জড়িত থাকারও অভিযোগ ছিল। নিহত অপর জন মিজানুর রহমান মিজান (৩৮) হাসানের আপন ভাই।

র‌্যাব-৬ এর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবু নূর তারেক আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, “শাড়াপোল মাঠে এক দল অস্ত্র ব্যবসায়ীর বৈঠকের খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত সন্ত্রাসীরা র‌্যাবকে লক্ষ করে গুলি ছুড়লে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়।”

দুই পক্ষের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হাসান ও মিজান ঘটনাস্থলেই মারা যায় বলে র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক জানান। ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর অপর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে ১২ আগ্নেয়াস্ত্র, শতাধিক রাউন্ড গুলি, ১২ মোবাইল সিমকার্ড ও নগদ ৩৮00′ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে র‌্যাব জানায়।

সেদিন দুপুরের পর ময়নাতদন্তের পর হাসান ও মিজানের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে দুই সহোদরকে স্থানীয় কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হাসান দুই কন্যা সন্তানের জনক এবং তার ভাই মিজানের এক ছেলে রয়েছে।

হাসান গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ (সদর) ও যশোর-৪ (বাঘারপাড়া) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। তিনি চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের আঞ্চলিক কমান্ডার ছিলেন।

হাসান ২০০১ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যশোর পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হন। কিন্তু গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার কারণে শপথ নিতে না পারায় তার কমিশনার পদটি খারিজ হয়ে যায়।

যশোরে সন্ত্রাস ও চোরাচালানের শীর্ষে ছিল আহসান হাবীব ওরফে হাসানের নাম। হাসানের সঙ্গে তখন তাঁর ভাই মিজানের নাম যুক্ত হয়ে ওঁদের সিন্ডিকেটের নাম হয়েছিল হাসান-মিজান সিন্ডিকেট।

দুই ভাইয়ের এই সিন্ডিকেটকে শংকরপুর সিন্ডিকেট বলেও ডাকা হতো। ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ক্রসফায়ারে নিহত হন হাসান ও মিজান। মনে করা হয়েছিল, এবার হয়তো যশোরের মাদক-বাণিজ্য একটু কমবে। র্যাবের হাতে ধরা পড়ার দু-এক দিন আগে হাসান মুঠোফোনে মিডিয়াকে জানিয়েছিল, বিগত সরকারের (বিএনপি) আমলে যশোরের অনেক প্রভাবশালী যেমন তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছিলেন, তেমনি এই সরকারের (আওয়ামী লীগ) আমলেও অনেকে সেটা নিতে শুরু করেছেন। আর এই তালে পড়েই ভালো হতে চাইলেও তিনি ভালো হতে পারেন না।

যশোরের অনেক লোক বিশ্বাস করেন, হাসান তাঁর ভাই নূরুন্নবীর মাধ্যমে বিএনপির নেতা তরিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তরিকুল ইসলাম এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নূরুন্নবী বিএনপির রাজনীতি করেন। তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক তো থাকবেই। কিন্তু হাসানের সঙ্গে তো নূরুন্নবীরই যোগাযোগ ছিল না। কাজেই হাসানের সঙ্গে আমার যোগাযোগের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

তরিকুল ইসলাম সন্দেহের আঙুল একটু ঘুরিয়ে দিয়ে বলেন, খোঁজ নিন, তা হলে জানতে পারবেন খুন হওয়ার কিছুদিন আগে হাসানের ফুলের তোড়া কে পেয়েছিলেন। লোকজন কিছু বলতে রাজি না হলে স্থানীয় পত্রপত্রিকা ঘেঁটে দেখুন। খোঁজ নিন, কাদের বিত্তবৈভব বাড়ছে। তরিকুল ইসলাম নাম না বললেও সাংসদ খালেদুর রহমান টিটো ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে ইঙ্গিত করেন। এ দুজনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী রেজা রাজুও।

তিনি সে বছর ১২ সেপ্টেম্বর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা আবার হাসান-মিজান সিন্ডিকেট চালু করার চেষ্টা করছেন। রাজু আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় কারও নাম বলেননি। তবে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগে যাঁরা নবাগত, যাঁদের কাছে দলের চেয়ে নিজেদের বিত্তবৈভব গড়া জরুরি, তাঁরাই এ কাজ করছেন। জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক সাংসদ বললেন, খালেদুর রহমান টিটো আর যা-ই করুন, মাদক ব্যবসায় নামতে পারেন না।

সেসময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ও সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামানের কাছে বর্ধিত সভার সারসংক্ষেপ উল্ল্লেখ করে মিডিয়াকে বলেছিলেন, আলী রেজা রাজু চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে শাহীন চাকলাদার যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন। এসব নিয়ে কয়েক দিন খুব গরম ছিল যশোর। আস্তে আস্তে সব ঠান্ডা হয়ে যায়। এবারও হাসান মিজানের আগ্নেয়াস্ত্র ভান্ডারের কথা আর কারো মনে হয়নি। এমনকি তাদের দখলে থাকা কোটি কোটি টাকার সম্পদ, জমি, মাদকের ইতিহাসও আড়ালে চলে যায়। মিজানের সহযোগীরা রাতারাতি বড় বড় বাড়ি তৈরি করে যশোরের রাজনৈতিক নেতাদের পকেটের লোক বনে যায়। জনগন চুপসে যায় আরো একবার।

তাঁর পাঠানো ফেনসিডিল, হেরোইনসহ চোরাচালানসামগ্রী বেনাপোল রোড হয়ে যশোর, কাইমখোলা-ছুটিপুর রোড হয়ে যশোর ও চূড়ামনকাঠি-চৌগাছা রোড হয়ে যশোর আসে। সম্প্রতি ভারতে তৈরি নকল ইয়াবাও আসছে। মাদকদ্রব্যের সামান্য অংশই যশোরে থাকে এবং ওখান থেকে বিভিন্ন পথে আসে ঢাকায়। একটি সূত্র জানায়, ঢাকায় ওই সিন্ডিকেটের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন কেরামত। ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দুই হাজার ৫০০ বোতল ফেনসিডিলসহ ধরা পড়া কেরামত একসময় ছিলেন তথাকথিত সর্বহারা পার্টির সদস্য এবং সাবেক যুবলীগের জেলা কমিটির সদস্য। তবে এখন কেরামত এসব ঝক্কি ঝামেলায় সম্পৃক্ত আছে কিনা তা জানা যায়নি।

নওয়াপাড়ার বিরামপুর এলাকার ত্রাস কেরামতের নামে হত্যাসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে। যশোর শহরের কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী: নিজস্ব অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, হাসান-মিজান নিহত হওয়ার পর তাঁদের দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক বেদখল

হয়ে যায়। চাপা পড়ে যায় বিস্তর আগ্নেয়াস্ত্র ভান্ডার।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

পাটগ্রাম চলছে অনলাইন জুয়ার রমরমা ব্যবসাঃ

আব্দুল লতিফ সরকার,আদিতমারী প্রতিনিধিঃ সারা দেশে অনলাইন জুয়ার ব্যবসা চললেও লালমনিরহাট জেলা পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত ভাবে চলছে এই অনলাইন জুয়ার ব্যবসা যা ধ্বংসের

ভারতে মোদি হারলে বাংলাদেশে কী হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায়

শাড়ি বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের কিন্তু নিয়ে গেল ভারত-এ কেমন প্রহসন

জহুরুল ইসলাম টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল শাড়ি-নামটাই যেখানে এ শাড়ির পরিচয় বহন করে সেই শাড়ি নাকি ভারতের! তাতশিল্পে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের এই নামকড়া জেলাটি যে ভারতর অংশ

অপরাধ বেড়েছে যশোরে, দেড় মাসে ১১ জন খুন

জেমস আব্দুর রহিম রানা: যশোরের অভয়নগরে যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া বেঙ্গল মিল গেট এলাকায়

‘ফিলিপাইনে স্বর্ণখনিতে ধস: নিহত ৫৪, নিখোঁজ অন্তত’ ৬৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দাভাও দে ওরোর মাকো শহরের কাছে একটি স্বর্ণখনিতে ধস নেমেছে। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত সেখান থেকে ৫৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

স্বয়ং রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর কাছে জেনা করার অনুমতি চাওয়া সেই কাহিনী।

আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক যুবক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে ব্যভিচার করার অনুমতি দিন। এটা শুনে চতুর্দিক