
নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি অবৈধ গরুর হাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত তিনজন গুরুতর আহত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।,
স্থানীয়রা জানান, পূর্বাচলের শিমুলিয়া এলাকায় অনুমোদনবিহীন এই হাটটি কয়েক মাস আগে স্থানীয় প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জসিম উদ্দিন নামে একজন ব্যক্তির প্রভাব খাটিয়ে সেখানে নিয়মিত হাট বসছে। সোমবার হাট চলাকালে মামুন নামে আরেক ব্যক্তি তার লোকজন নিয়ে হাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে আসে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
আহত সবুজ অভিযোগ করে বলেন, আমি ডিউটি করতেছিলাম। হঠাৎ করে একশোর বেশি লোক রামদা, লাঠি নিয়া হামলা করে। পিস্তল দিয়া তিনটা গুলি ফুটাইছে। আমরা দৌড়াইয়া পালাইছি। মুহাসিনরে কোপায়ছে। মামুন কাকা, রফিকুল্ল্যা আর মনছুরের নেতৃত্বে এই হামলা হইছে।
অন্য আহত রিপন জানান, আমরা গরুর হাটে ডিউটি করতাছিলাম। এর মাঝে মামুন গ্রুপ আইসা বলে ‘তোরা কিসের বিএমপি করস?’ সাথে বড় বড় রামদা, লাঠি, আর কোমর থাইকা পিস্তল বাইর কইরা তিনটা গুলি ফুটাইছে। পরে আমাদের মাইর-ধোর কইরা হাসপাতাল পাঠাইছে।
পূর্বাচল বানিজ্য মেলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই পার্থ কুমার চ্যাটার্জী বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তখন পরিস্থিতি শান্ত পাই। স্থানীয় পুলিশের দ্রুত ভূমিকার কারণে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো গেছে। দুই-তিনজন আহত হাসপাতালে আছে বলে জেনেছি। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার লক্ষ্য করেনি, তবে দেশীয় অস্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে হাট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।,











