‘নতুন নির্বাচনের প্রস্তাব সুশীলদের, কূটনীতিকদের ‘না’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে’। বিএনপি সহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। এবার নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এবার রেকর্ড ৬২ টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। তাদের কারণেই দেশের প্রায় অর্ধেক নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, উত্তেজনাপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পরও থেমে নেই সুশীলরা।

তারা বিভিন্ন লেখালেখি, বক্তব্য বিবৃতি, টকশোর কথাবার্তা এবং সভা সেমিনারের মাধ্যমে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এটি আসলে কোন নির্বাচনই নয়-এমন একটি বক্তব্য আসছে সুশীল সমাজের লেখালেখি, কথাবার্তায়, বক্তৃতা বিবৃতিতে। বিশেষ করে ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো এই দুটি পত্রিকা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তাদের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। আর এই প্রকাশ্য তৎপরতার বাইরে বিভিন্ন কূটনৈতিক মহলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য দেন দরবার করেছিল। কিন্তু সে চেষ্টা সফল হয়নি।

যেহেতু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, কাজেই এখন আবার নতুন করে রাজনৈতিক সমঝোতার চেষ্টা করা, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ আয়োজন সহ পাঁচ দফা প্রস্তাব নিয়ে সুশীলরা বিভিন্ন দূতাবাসগুলোতে কথাবার্তা বলছেন। সুশীলদের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবিলম্বে আলাপ আলোচনা শুরু করে রাজনৈতিক সমঝোতার চেষ্টা করা। দ্বিতীয়ত, বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা আটক হয়েছেন, তাদের মুক্তির বিষয়টি অগ্রাধিকার নিয়ে আসা, তৃতীয়ত, অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং দলীয় সরকার এই দুটির মাঝামাঝি একটি সমঝোতাপূর্ণ জায়গায় আসা। চতুর্থত, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং পঞ্চমত, একটি যথাশীঘ্র সম্ভব সকল দলের অংশগ্রহণে একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

আর এই পাঁচ দফা প্রস্তাব নিয়ে তারা বিভিন্ন কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কূটনীতিকরা এ ব্যাপারে কোন ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। কারণ তারা মনে করছে যে একটি সরকার কেবল গঠিত হচ্ছে। বিপুল ভোটে একটি নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনকে এখনই নাকচ করে দিয়ে আবার নতুন করে নির্বাচন করার কোন রকম প্রয়োজন আছে বলে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা মনে করছেন না। বরং তারা মনে করছে যে, নতুন সরকার কীভাবে কাজ করে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের ভূমিকা গুলো কি হয় সে বিষয়টি আগে পরীক্ষা করা দরকার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো সাফ জানিয়েছে দিয়েছে যে, নতুন সরকারের সাথে তারা কাজ করবে এবং কাজ করার আগ্রহ নিয়ে রাষ্ট্রদূতরা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর কাছে ছুটে যাচ্ছেন, কথা বলছেন। মার্কিন যক্তিরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন নতুন সরকারকে পর্যবেক্ষণ করা এবং অপেক্ষা করার নীতিতে আছে। এখনই নতুন নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে মাঠ গরম করতে চায় না তারা। এর ফলে সুশীলদের নতুন নির্বাচনের ফর্মুলা আবার নতুন করে হোঁচট খেয়েছে। তবে সুশীলরা থেমে নেই। তারা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

গোসল করতে গিয়ে পুকুরে ডুবে বাঁশখালীতে নারীর মৃত্যু

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গোসল করতে গিয়ে পুকুরে ডুবে রবিতা দাস (২৬) নামে এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ১ নম্বর

বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে যা বললেন ভারতের প্রধান বিচারপতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বক্তব্যে স্বাধীনতার গুরুত্ব বোঝাতে বাংলাদেশের উদাহরণ টানলেন দেশটির প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয়া ইশান্ত চন্দ্রচূড়। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট)

বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরটি সত্য নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেনিতে বাচ্চাসহ ৪২৮ জনের মৃত্যু, নোয়াখালীতে ৩৮৫ জনের মৃত্যু, কুমিল্লাতে ১০৩ জনের মৃত্যু শিরোনামে যমুনা টেলিভিশনের একটি ফটোকার্ড ঘুরতে দেখা যায়।

শপথ নিলেন সিইসি ও চার কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক: শপথ নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ও চার নির্বাচন কমিশনার। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আজ রবিবার

সিরাজগঞ্জে ২৩৫ বছরের বাঁশ-ছনের মসজিদটি আজ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: দুই বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত দ্বিতল মসজিদটি। ২৩৫ বছর আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে মসজিদটি নির্মাণ করে স্থানীয়রা। একসঙ্গে প্রায় তিন হাজার মানুষ মসজিদটিতে নামাজ

ফ্যাসিস্টরা ভারতে বসে বলছে, আমরা নাকি পালিয়ে গেছি

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর তা‌দের নেতারা ভারতে ও দুবাই পালি‌য়ে গিয়ে ফুর্তি করছে, আরাম-আয়েশ করছে।