
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেড় বছর পর তালাবদ্ধ জীবন থেকে মুক্তি মিলছে শিশু মরিয়ম ও নূরের। একই সাথে তাদের সংগ্রামী বাবা রনি সিকদার ফিরোজেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে নিজেই গাড়িতে করে চাল, শিশুদের জন্য আম ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে রনি সিদকার ফিরোজের বাসায় হাজির হন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তর কামরুজ্জামানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
ইউএনও মনিরুজ্জামান বলেন,সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম এক পিতা তার দুই অবুজ সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। জীবিকার তাগিদে শিশুদের তালাবদ্ধ করে রেখে যেতে হয় তাকে। আমি অসহায় পরিবারটির খোঁজ নিতে এসেছি। প্রাথমিকভাবে চাল ও নগদ টাকা পৌঁছে দিয়েছি। তিনি বলেন,সরকার পরিচালিত ডে কেয়ার সেন্টারে শিশুদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা রোববার এসে ওদের ডে কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাবে। শিশু দুজন এরপর সরকারের তত্ত্বাবধায়নে থাকবে। পাশাপাশি তাদের পিতা রনি সিকদার ফিরোজকে কর্মসংস্থান ও বসবাসের জন্য আমরা ব্যবস্থা করবো।
প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, ডে কেয়ার সেন্টারে প্রতিদিন সকালে শিশু দুজনকে দিয়ে আসবে আর বিকেল ৪টায় নিয়ে আসবে। শিশুদের সকল দেখভাল ডে কেয়ার সেন্টার করবে। এতে সুবিধা হচ্ছে নিশ্চিন্তে ফিরোজ কাজ করতে পারবে। তার আয় বন্ধ থাকবে না আবার বিকেলে
খবর জানার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে এই পরিবারকে সহায়তার জন্য খোঁজ নিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমানকে পাঠান।
এর আগে ২ সন্তানকে ঘরে তালাবদ্ধ করে জীবিকার সন্ধানে বের হওয়া পিতা রনি সিকদার ফিরোজকে নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়। এরপরই জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হলো।