
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধের জেরে আব্দুল মান্নান নামে এক ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার সাতটিকরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে, এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আব্দুল মান্নান প্রামানিক সলঙ্গা থানার মধ্যপাড়া ভরমোহনী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। সে গুড়কা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত (১০ আগষ্ট) সকাল ১০ টার দিকে সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার,বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী রাঙ্গা,হাবিবুর রহমান ও বিএনপি নেতা সোলাইমান খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিততে, উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের সাতটিকরি মৌজাস্থ,আব্দুল মান্নানের ক্রয়কৃত নিজনামীয় জমি ভুমিমাপকারী(আমিন) দ্বারা পরিমাপ করে,জমির খুটি পুতে সীমানা নির্ধারন করা হয়, পরিমাপ শেষে মান্নান জমির সীমানায় ইট দ্বারা প্রাচীর নির্মান করতে গেলে, সজীব, সুলতান ও সেলিম জোড়পুর্বক বাধা প্রদান করে ভুক্তভোগী মান্নানের প্রাচীর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়।
এর পর ওই দিন রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে সজিব চৌধুরী মান্নানকে জমির বিষয়ে কথা আছে বলে কৌশলে সাতটিকরি বটতলা নামকস্থানে ডেকে নিয়ে কিছু না বলেই আব্দুল মান্নানকে সজিব চোঁখে মুখে কিল ঘুষি মারতে থাকে এক পর্যায়ে মান্নান মাটিতে পরে গেলে চাপাতি দিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাত করে মাথার ডান পাশে কোপ দিলে গুরুতর ভাবে মাথা ফেটে যায়, এ সময় সজিবের চাচা সুলতান মাহমুদ ও সেলিম লোহার হাতুড়ি ও লোহার রড নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করে,কপালের বাম পাশে আঘাত করে এবং বাম চোখ রক্তাক্ত জখম করে, এসময় আব্দুল মান্নানের পরিহিত লুঙ্গীর ডান কোমরে থাকা ব্যবসার নগদ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আসামী সুলতান জোর করে ছিনিয়ে নেয়, তখন ভুক্তভোগী চিৎকার করলে প্রকাশ্যে খুন, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রধান করে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে তসরা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় মান্নানকে উদ্ধার করে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়, চিকিৎসা শেষে সলঙ্গা থানায় তিনজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের সাতটিকরি গ্রামের চান্দু চৌধুরীর ছেলে সজিব চৌধুরী (৩৩) মৃত গোলজার হোসেন চৌধুরীর ছেলে, সুলতান চৌধুরী (৫০) ও সেলিম চৌধুরী (৪৮)
এ বিষয়ে সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মান্নানকে কোন মারপিট করা হয় নাই,আর আমি ঘটনার সময় ছিলাম না,তবে মানুষের মুখে শুনতে পেয়েছি সে ইটের উপর পরে গিয়ে মাথায় চোখে আঘাত পেয়েছে,তবে আমার নামে থানায় যে অভিযোগ দিয়েছে সেটা আসলে সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার, মান্নানের পক্ষে এসে জমি পরিমাপ করে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে এবং তার নির্দেশে আমাকেসহ আমার ভাই ও ভাতিজার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
এবিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, এবিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।