
অনলাইন ডেস্ক: ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ঝাড়সুগুড়া জেলায় অবৈধ অনুপ্রবেশবিরোধী অভিযানে ৪৪৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সন্দেহ করা হচ্ছে, এদের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিক। পুলিশের দাবি, আটক ব্যক্তিদের বৈধ কাগজপত্র নেই এবং তারা রাজমিস্ত্রি, দিনমজুর ও ফেরিওয়ালা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
জেলার পুলিশ সুপার স্মিত পি পারমারের নেতৃত্বে চালানো অভিযানে আটককৃতদের মধ্যে ২৬৫ জনকে হিলটপ কলোনির সুরভী কল্যাণ মণ্ডপে ও বাকিদের ব্ল্যাক ডায়মন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে স্থাপিত হোল্ডিং সেন্টারে রাখা হয়েছে।
অভিযান পরিচালিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্সের আওতায়, যেখানে প্রতিটি জেলায় একজন করে বিদেশি নিবন্ধন কর্মকর্তাও দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে এ ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র দাবি করেছেন, আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২৩ জন তার লোকসভা কেন্দ্রের স্থায়ী বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মুখ্যসচিবদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কলকাতা হাইকোর্টে রিট দায়েরের কথাও জানিয়েছেন।
মহুয়া মৈত্র বলেন, “ওড়িশায় কাজ করতে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের এভাবে আটকানো ও জিজ্ঞাসাবাদ সংবিধানবিরোধী।”
পুলিশ জানিয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে নজরদারির আওতায় রয়েছে।