এবার মালদহে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল বন্ধ

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যেই বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সাময়িকভাবে হোটেল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। এবার ত্রিপুরার দেখাদেখি একই পথে হাঁটল ভারতের মালদহ।

মালদহের হোটেল মালিকরা বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ভাড়া না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশে কথিত ভারতবিরোধী কার্যক্রম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদহের হোটেল মালিকরা।

মালদহের হোটেল মালিকদের সংগঠন হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আমাদের হোটেলে বাংলাদেশ থেকে আসা অতিথিদের রাখব না। বাংলাদেশে ভারত বিরোধী কার্যকলাপে এবং তারা যেভাবে আমাদের দেশকে অসম্মান করছে তাতে আমাদের সদস্যরা ক্ষুব্ধ এবং গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মালদহে ৯৩টি হোটেল রয়েছে। আজ বুধবার থেকে এসব হোটেলে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশকে অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।’

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, চিকিৎসা বা কর্মসূত্রে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জন বাংলাদেশি মালদহ দিয়ে ভারতে আসা-যাওয়া করেন। অভিযোগ উঠেছে, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বনগাঁ দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশের নাগরিকেরা। এ জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদহের হোটেল ব্যবসায়ীরা।

তারা বলছেন, ওপার থেকে এপারে আসা বাংলাদেশের নাগরিকদের ঘর ভাড়া দেবেন না তারা। কারণ, ওই নাগরিকেরা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আসছেন, বৈধ নথি আছে কি না, সেসব বোঝার উপায় নেই। তাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন তারা।

হোটেল ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স। সংগঠনটির সম্পাদক উত্তম বসাক বলেন, বাংলাদেশে এখন অশান্তির পরিবেশ। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া দুষ্কৃতকারীরাও চোরাপথে অনুপ্রবেশ করতে পারে। পরে আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন হোটেল মালিকেরা।

এরই মধ্যে পেট্রাপোল, ঘোজাডাঙা, মাহদিপুর ও হিলি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিএসএফ। বাংলাদেশের নাগরিকেরা যেসব চেকপোস্ট ব্যবহার করছেন, সেখানে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। পেট্রাপোলের এক বিএসএফ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশি যাত্রীদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাসপাতাল ও চেম্বারে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। সর্বপ্রথম কলকাতার জে এন রায় হাসপাতাল এবং সর্বশেষ ত্রিপুরার আগরতলার আইএলএস হাসপাতাল এ ঘোষণা দেয়।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তার ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের জটিলতা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া সাময়িক বন্ধ রাখে ভারত। এর পর থেকে দেশটিতে বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকের সংখ্যা কমতে থাকে।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

বাংলাদেশের রাজনীতিতে চীনের নেটওয়ার্ক বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চীন এতদিন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অংশীদার ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে তাদের বড় ধরনের অবদান রয়েছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রেখেই

আদালত চত্বরে দীপু মনিকে কিল-ঘুষি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামে এক দোকানিকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার শেখ হাসিনা সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী

সংঘাত নয়, আলোচনায় সমাধান চাই: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ যে কোনো সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সংঘাত নয় শান্তি চাই। সোমবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩

আদালতের রায়ে জনগণের বিজয়: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার: ইশরাক হোসেনকে নিয়ে রায়ের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, উচ্চ আদালত আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটা হওয়া উচিত সেই ধরনের

বিয়ে করলেন তৌহিদ আফ্রিদি, পাত্রী কে?

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে অনেকটাই আত্মগোপনে রয়েছেন দেশের আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। তিনি ও তার

তিস্তা নিয়ে শেখ হাসিনাকে মোদির আশ্বাস, ক্ষোভ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি মমতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত রোববার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত গঙ্গা-তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির পুনর্নবায়নের জন্য টেকনিক্যাল স্তরে আলোচনা শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের