
নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি ২২৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে বিজিবির উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ১২৪ জনকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি ১০৪ জেলে এখনও ফেরার অপেক্ষায় আছেন। তাদের মধ্যে ৯৫ জন বাংলাদেশি এবং ১৩৩ জন রোহিঙ্গা।
রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান কক্সবাজার রিজিয়নে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায়। তিনি বলেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি সরাসরি টেকনাফ সীমান্তে মাদক পাচারে জড়িত। এ কাজে তারা রোহিঙ্গা ও দেশীয় সিন্ডিকেটগুলোকেও ব্যবহার করছে। নাফ নদ ও উপকূলীয় দুটি পথ দিয়েই মূলত মাদক আসছে।
কর্নেল মহিউদ্দিন জানান, বাংলাদেশ থেকে নিত্যপণ্য যাচ্ছে মিয়ানমারে, আর সেখান থেকে আসছে ইয়াবা, আইসসহ মাদক ও অবৈধ অস্ত্র। নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে মাদক প্রতিরোধ অভিযান চালানো হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় ২৩টি মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আরাকান আর্মি বৈধ কর্তৃপক্ষ নয়, তাই তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ নেই। নন-অফিসিয়াল যোগাযোগের মাধ্যমেই আটক জেলেদের ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। মাদক নির্মূলে বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে, তবে স্থায়ী সমাধানে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।
গত ১৫ জুলাই থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিজিবি ঝুঁকিপূর্ণ ১৪৭টি অভিযান চালায়। এসব অভিযানে ২৮ লাখ ইয়াবা, ৮১৬ গ্রাম আইস, ৩৬৫ লিটার বাংলা মদসহ বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ হয়। আটক করা হয় ১৮৮ জনকে। একই সময়ে চোরাচালানের ২২৬টি বার্মিজ গরুসহ বিভিন্ন পণ্যও জব্দ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে আটক করেছে বিএসএফ। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন খিরোদখালি এলাকা থেকে তাদের ট্রলার, মাছ ও জাল জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, প্রায় ১০-১২ দিন আগে তারা ভোলা থেকে মাছ ধরতে সমুদ্রে যান। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পথ হারিয়ে গত শুক্রবার রাতে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়েন। এরপর বিএসএফ তাদের আটক করে এবং দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন কোস্টাল থানার হাতে তুলে দেয়।
ভোলার বাসিন্দা আটক জেলেরা জানিয়েছেন, পথ হারিয়ে ভুলবশত ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করায় তাদের আটক করা হয়েছে।