নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানা পুলিশের এসআই আব্দুল মুত্তালিবের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আটকের পর মামলা না থাকা সত্ত্বেও হত্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠেছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, সিংগাইর উপজেলার রামনগর বাজার থেকে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুস সামাদ নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করে এসআই মুত্তালিব।
আটকের পর এসআই মুত্তালিব তাকে হত্যা ও নাশকতা মামলাসহ থানার বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ভয় ভীতি দেখান।
আটক সামাদকে তার ভাগ্নে মো. কাউসার এবং মো. আলমাছ ছাড়াতে থানায় আসলে এস আই মুত্তালিব তাদের জানায়, ২ লাখ টাকা ঘুষ না দিলে আটক ব্যক্তিকে হত্যা ও নাকশা মামলায় নাম অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
আর ঘুষের টাকা দেয়া হয় আটক সামাদকে শুধুই পুলিশ ফাঁড়ি পোড়ানোর ১টি মামলায় নাম দেয়া হবে, যা সহজে জামিনযোগ্য।
ঘুষ নিয়ে দর-কষাকষির একপর্যায়ে কাউছার ৭০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয় এবং আলমাছ এসআই মুত্তালিবকে ঘুষের ওই টাকা হাতে দেয়।’
ঘুষের টাকা পাওয়ার পর এসআই মুত্তালিবের নির্দেশে আটক আব্দুস সামাদকে পুলিশ ফাঁড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৪ ডিসেম্বর তারিখে মানিকগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আমলী আদালতে পাঠানো হয়।
আব্দুস সামাদকে থানায় ছাড়াতে আসা তার ভাগ্নে কাউসারের একটি ভয়েস রেকর্ড কাছে সংরক্ষিত আছে এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও এসআই মুত্তালিবসহ বেশ কয়েকজনের মামলা বাণিজ্যের সত্যতা মিলেছে।
এ ছাড়া একই কায়দায় এসআই মুত্তালিবের বিরুদ্ধে জয়মন্ডপ এলাকার মঞ্জু, ধল্লা ইউনিয়নের জাকির হোসেন ও রমজান খাঁ, চান্দাহারের সানোয়ার এবং সিংগাইর পৌরসভার সোহেল ও সাবেক কমিশনার আতাউল হকের কাছ থেকে আটকের পর ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আছে।
এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পুলিশের এসআই মুত্তালিবের কাছে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব ঘটনার তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন।
ভুক্তভোগি ও স্থানীয় জনতা পুলিশের ধারাবাহিক মামলা বাণিজ্য ও ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছুদিন পুলিশ ভালভাবে জনগণের সেবা দিলেও এখন আবার ঠিক আগের ভূমিকায় ফিরে এসেছে।
তাদের দাবি, পুলিশ এভাবে মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ বাণিজ্য চালু রাখলে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুতই তার ভাবমূর্তি হারাবে।’