সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে শহীদ ক্যাডেট একাডেমী এন্ড মডেল স্কুলের ৫ম শ্রেনীর স্বদ্য নামের এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের এক সহকারী শিক্ষক। ঘটনার দায় এড়াতে ও ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে বৈঠক করে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়ামিন ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হাসানুজ্জামান রঞ্জু। তবে এঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে
সিরাজগঞ্জ শহীদ ক্যাডেট একাডেমী এন্ড মডেল স্কুলের ৫ম শ্রেনীর (ক) শাখার ছাত্র সারতাজ খান স্বদ্য সহ কয়েকজন ছাত্র টিফিনের পর এক সাথে ওয়াশরুমে যায়। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক সহকারী শিক্ষক ইয়ামিন ক্লাস রুমে প্রবেশ করে তাদের না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাস রুমে ডেকে নিয়ে
সারতাজ খান স্বদ্য সহ কয়েক শিক্ষার্থীকে স্কেল দিয়ে হাতে পিঠে পিটিয়ে জখম করে। বিকেলে স্কুল ছুটির পর ওই শিক্ষার্থী বাসায় ফিরে গোসল করতে গিয়ে জামা খুললে জখমের চিহ্ন দেখে ফেলে তার মা অঞ্জনা খাতুন আশা। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে এ ঘটনার বর্ণনা দেন। পরেরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রের বাবা বেলাল হোসেন সবুজসহ তার আত্নীয়স্বজন এঘটনার বিচার দাবি করতে শহীদ ক্যাডেট স্কুলে গেলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে পুলিশ, কাউন্সিলর ও কতিপয় কয়েকজন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে বৈঠকে বসে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ইয়ামিন ও পরিচালক হাসানুজ্জামান রঞ্জু ক্ষমা চেয়ে ও দুঃখ প্রকাশ করে দায় এড়ান। এমন ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা বেলাল হোসেন সবুজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলে কোন অন্যায় করে থাকলে আমাদের ডেকে এনে বিষয়টি জানাতে পারতেন তা না করে এভাবে পিটিয়ে জখম করে দিবেন এটা তো হয় না। আমাদের ছেলে মেয়ে এমন প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকের নিকট অনিরাপদ। তিনি এর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ শহীদ ক্যাডেট একাডেমী এন্ড মডেল স্কুলের পরিচালক হাসানুজ্জামান রঞ্জু বলেন, আমি অসুস্থতার কারনে গতকাল প্রতিষ্ঠানে থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে ছাত্র অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ,কাউন্সিলর ও কতিপয় কয়েকজন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষকসহ আমি ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি (অপারেশন) সুমন দাস বলেন, এরকম একটি ঘটনার কথা শুনে ২নং ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফারুক কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল পরে কি হয়েছে তা বলতে পারবো না।এবিষয়ে ২নং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফারুক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এখন ব্যস্ত আছে একটু পরে কথা বলি।’