জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোল ইউনিয়নে ভ্যান সাইট দেওয়ার সময় অটো ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার চাকায় চাকায় সংঘর্ষ হয়। উভয় অটো চালকের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে ৩০ বাড়িতে লুটপাট করে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা এসময় আহত হয় ২০ জন।
শনিবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে রঘুনাথপুর ও শ্যামপুর গ্রামের ৩ থেকে ৪ শ যুবক মারামারিতে লিপ্ত হয়ে শ্যামপুর গ্রামের ৩০ বাড়িতে লুটপাট করে আগুন দিয়েছে এবং রঘুনাথপুর গ্রামেও একাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) রাত নয়টার দিকে শিয়ালকোল ইউনিয়নের শ্যামপুর মাজার এলাকায় রঘুনাথপুর গ্রামের অটো ভ্যান চালক সৌরাউদ্দি ও শ্যামপুর গ্রামের চালক রনির সঙ্গে কথাকাটাকাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রুপ নেয়। এক সময় বেশ কয়েকজন মিলে রঘুনাথপুর গ্রামের সৌরাউদ্দিকে বেদম মারধর করে আহত করে।
শ্যামপুর এলাকায় বসবাসকারী ফিরোজ শেখ জানান, দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন প্রকার রামদা, ছুড়ি এমনকি দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে ভাঙচুর করে লুটপাট করে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় এলাকার মানুষ জানের ভয়ে পালিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, দুই দিন আগের ছোট্ট একটি ঘটনায় বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
এদিকে রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু হাসেম জানান, সকালে আমাদের গ্রামের কয়েক যুবক ঐ গ্রামের সামনে গেলে শ্যামপুর গ্রামের নারী পুরুষ সকলে মিলে আক্রমণ করে, এক পর্যায়ে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরবর্তীতে রঘুনাথপুর গ্রামে ঢুকে চার পাঁচ টি ঘর ভাঙচুর করে, এ সময় ১০ থেকে১৫ গরু গোয়াল ঘর থেকে নিয়ে গেছে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আব্দুর রহমান জানান, বেশ কিছু বাড়ি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। দশটি ঘর ও ছয়টি খড়ের গাদায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও জানান, বেশ কিছু ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ূন কবির জানান, পুলিশ, সেনা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় এখন পরিবেশ স্বাভাবিক হয়েছে। কোনো প্রকার মামলা মোকদ্দমা হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।