জুয়েল রানা: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নুরজাহান হোটেলে ভটভটি ও ছোট ট্রাক রেখে চলছে মাছের পানির ব্যবসা। পানি বিক্রির সময় কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এছাড়া মাছের পানি পড়ে অনবরত সড়কগুলো ভিজে থাকছে। ফলে যানবাহন চলাচলের সময় পাকা সড়ক নষ্ট হয়ে খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। সচেতন মহলের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মহাসড়কের পাশে হোটেল গুলোতে গড়ে উঠা পানির ব্যবসা বন্ধ করা না গেলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মহাসড়কগুলো খানাখন্দে ভরে যাবে এতে বাড়বে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কের
সি আর বিসি এলাকায় নুরজাহান হোটেলে মাছ বাহী গাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতি গাড়ি ২শ থেকে ৩শ টাকার বিনিময়ে পানি সরবারহ করে আসছে।
হোটেল থেকে পানি নিয়ে আবার বের হওয়ার পথেই মহাসড়কের উপর উপচে পরছে পানি , ফলে রাস্তাটির বিটুমিন ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মটর সাইকেল, সিএনজি, ও ছোটখাটো পরিবহন গুলো এসব খানাখন্দের কারনে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর একজন জানান, হোটেল নুরজাহানে সন্ধার পর থেকে প্রতিদিন প্রায় ১শ থেকে ১৫০ গাড়ি পানি ভড়ে আবার ঢাকার দিকে রওনা হয়।
প্রতি গাড়ি থেকে ২শ থেকে ৩শ টাকা নিয়ে তারা পানি বিক্রি করে। কিন্তু গাড়িতে পানি নিয়ে বের হওয়ার সময় উপচে পরে মহাসড়কটি নস্ট করে ফেলছে, হোটেলের সামনে থেকে আরিফ মরিয়ম হাসপাতালের সামনে পর্যন্ত চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়, হোটেল নুরজাহানের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছুই বলে না।
এ বিষয়ে হোটেল নুরজাহানের মালিক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, আমার পয়েন্টের কারনে রাস্তায় পানি পরে রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে এটা সত্যি আমি ছাড়াও অনেক পানির পয়েন্ট রয়েছে। কিন্তু আমার সামনেই বেশী ক্ষতি হয়েছে, আমি বন্ধ রাখছি।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ জাকির হোসেন জানান, পানির পয়েন্টের কারনে যদি মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয় তাহলে দেখে তাদের সাথে আলোচনা করে বন্ধ করা হবে।
সিরাজগঞ্জ সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইমরান ফারহান সুমেল জানান, বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি, বার বার রিপিয়ারিং করার পরও মহাসড়কের সেই জায়গাটা আবারও ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে। বিশেষ করে হোটেলের সামনেই বেশী ক্ষতিগ্রস্থ্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারনে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আমি সেনা সদস্যদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।