নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজানের প্রথম দিনে বাজারে তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসেছে নারায়ণগঞ্জের ফল বিক্রেতারা। তরমুজের দামে যেন আগুন লেগেছে। সকালে ২শ টাকায় বিক্রি হয়েছে যে তরমুজ সেই তরমুজ বিকেলে বিক্রি হয়েছে ৫শ থেকে ৮শ টাকায়।’
সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের শহরের চাষাঢ়া, কালীরবাজা ২নং রেলগেট ও উপজেলায় এমনই চিত্র মিলছে হরহামেশায়।
শহরের কালীরবাজার এলাকায় সকালে ভ্যানগাড়িতে তরমুজ বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে ২শ টাকায় তরমুজ কেনেন আরিফ নামের এক ভোক্তা। একই স্থানে আরিফের কাছ থেকে শুনে তরমুজ কিনতে আসেন আরেক ক্রেতা। তিনি বলেন, সকালে ২শ টাকায় তরমুজ বিক্রি করেছেন আর এখন চাইছেন ৫শ টাকা।
ঠিক একই চিত্র দেখা যায় আড়াইহাজার উপজেলার রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। বাদল নামের এক ক্রেতা সকালে ২শ টাকায় তিনিও কেনেন তরমুজ । ইফতারের জন্য আবার বিকেলে একই স্থানে এসে দেখেন তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৬শ টাকায়। এত দাম কেন জিজ্ঞেস করতেই চটেন বিক্রেতা।
বিক্রেতা সাব্বির বলেন, সকালের মাল বিক্রি হয়ে গেছে। এখন নতুন মাল নতুন দাম। নিলে নেন না নিলে চলে যান।
জানা যায়, প্রতিটি তরমুজের আকার ভেদে ৫শ থেকে ৮শ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে। এতে করে বাজারে তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতারা মুহূর্তেই দাম শুনে তরমুজ না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করেই তরমুজের দামে যেন আগুন। মঙ্গলবার বিকেলে প্রতি কেজি তরমুজের দাম সর্বনিম্ন ৫শ টাকা দরে হাঁকা হচ্ছে। অবশ্য এই তরমুজই একই দিন সকালে মাত্র ২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ নারায়ণগঞ্জ শাখার সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান জানান, রোজা শুরুর আগের দিন থেকে আমরা বাজার মনিটরিং করে সকল খাদ্য ও ফল ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়েছি। কেউ দাম বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রমজান মাসজুড়ে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলবে।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, রোববার সকল ধরনের খাবার ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে এবং বাজার মনটরিংও করা হচ্ছে। কেউ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কারাদণ্ড প্রদান করা হবে।’