নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষ কিছুটা কমে এলেও আতঙ্ক কাটেনি। মিয়ানমারের আদি বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। বেশিরভাগ এলাকা থেকে গুলি কিংবা বিস্ফোরনের শব্দ পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশ সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) কক্সবাজার সীমান্তে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা না গেলেও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকায় থেমে থেমে তা পাওয়া গেছে। ফলে স্থানীয়রা এখনো আতঙ্কে আছেন। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা সজাগ রয়েছে বিজিবি। শুধু অনুপ্রবেশ নয়, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি আমরা।
নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি’) দিনগত মধ্যরাত থেকে টেকনাফের হ্নীলা, মিনাবাজার, খারাংখালী, খারাংগাঘোনা, হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, উখিয়ার পালংখালী, বালুখালী এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, আমতলী ও নয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরের দিন টেকনাফের উলুবনিয়া এবং পালংখালীর বটতলী এলাকায় গুলি ও মর্টার শেলের টুকরা এসে পড়ায় দুই উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর একদিন পরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে আকাশ মহড়া দেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকাপ্টার। তবে সোমবার থেকে গোলাগুলির শব্দ একেবারে বন্ধ হয়ে গেলেও আতঙ্ক কাটেনি সাধারণ মানুষের মধ্যে।’
এদিকে মিয়ানমারের পশ্চিমাংশে হঠাৎ সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে সাধারণ রোহিঙ্গা এবং রাখাইন সম্প্রদায়ের মাঝে। নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে হয়তো বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে তারা।
টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী গণমাধ্যমকে বলেন, টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু যখন গুলি ও মর্টার শেল উলুবনিয়া এলাকায় এসে পড়ে তখন সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কয়েকদিন গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, উলুবনিয়ায় গুলি এসে পড়ার পর পুরো উপজেলার সীমান্ত এলাকার ৩০০ মিটারের ভেতরে বসবাসকারীদের তালিকা করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’