নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। আজ পুরো পৃথিবী নতুনভাবে নির্বাচিত হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তাই আবোল-তাবোল বকছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি’) পুরান ঢাকার বকশিবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউটে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে শহিদ মতিউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপি এখন উপলব্ধি করছে তাদের চরম ভুল হয়েছে। তাদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন উপলব্ধি করছে নির্বাচন বর্জন করা তাদের জন্য আত্মত্যাগের শামিল হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার যখন ২০০৯ সালের সরকার গঠন করি, এর পর যখন উপজেলা নির্বাচন হয়, তখন কিন্তু প্রতীক ছিল না। প্রতীক দেওয়ার বিধান পরে চালু হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বরাবরই প্রতীকবিহীন হয়েছে। আমরা আগের সেই পদ্ধতির কথাই বলেছি। সেখানে সবাই উপস্থিত থাকবে এবং যে যার মতো নির্বাচন করবে। যারা বিজয়ী হবেন, তারা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন। এটা নতুন কিছু না।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতীকবিহীন নির্বাচন করার বিষয়টি আমাদের মধ্যে বহু আগে থেকে আলোচনায় ছিল। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রায় দুই বছর ধরে এটি আলোচনার মধ্যে ছিল। সর্বশেষ গত ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে এটি সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি বলেন, বহু শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতার নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীনতা কারও হুঁইসেল বাজানোর মাধ্যমে আসেনি। বহু সংগ্রাম, বহু রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। আমাদের এই স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে মতিউর রহমানের আত্মদান রয়েছে। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ অনেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃতি করে। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা সংগ্রাম বিকৃতি করে। বলার চেষ্টা করে একটি হুঁইসেল বাজানোর মাধ্যমে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রাম তারা অস্বীকার করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে পলে পলে আন্দোলিত করে এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে।’