আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন একটি চুক্তি সম্পাদনের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি’) যুদ্ধরত দুপক্ষের মধ্যে নতুন এ চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে কাতার। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক ত্রাণসহায়তা দেয়া হবে। এর বিনিময়ে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের ওষুধ সরবরাহ করা হবে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ৪৫ ইসরায়েলি বন্দির সবাইকে ওষুধ দেওয়া হবে। বেশ কয়েক মাস নির্দিষ্ট হারে ওষুধ দেওয়া হবে। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি মাঠপর্যায়ে এ কাজ সমন্বয় করবে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, বুধবার কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ত্রাণসহায়তা ও ওষুধ মিসরের আল আরিশ শহরে পাঠানো হবে। এরপর সেগুলো গাজা উপত্যকায় পৌঁছে দেওয়া হবে। নতুন চুক্তিতে কাতার মধ্যস্থতা করেছে। আর এতে সহায়তা করেছে ফ্রান্স।’
এর আগে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস সেন্টারের প্রধান ফিলিপ ল্যালিয়ট বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকভাবে এই চুক্তির ধারণা ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের কাছ থেকে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।’
গত নভেম্বরে প্রথমবারের মতো কাতারের মধ্যস্থতায় সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে ইসরায়েল ও হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তবে এখনো গাজায় হামাসের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দি আছেন।’
সূত্র: আলজাজিরা