অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের পরিবার এ অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করেন। এদিন দূতালয় প্রাঙ্গণ বিজয় দিবসের ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।
সকালে হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতালয় প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনাপর্ব শুরু হয়। ৫৩তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। এসময় মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনাপর্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপহাইকমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম খাঁন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
বক্তব্যে হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের। বিশেষভাবে স্মরণ করেন দুই লক্ষাধিক সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহত ছাত্র-জনতার প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে আগামীতে এমন একটি গণতান্ত্রিক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ সার্থকতা লাভ করে। পরিশেষে দেশের জন্য আত্মত্যাগকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গণে শিশু-কিশোরসহ সবার অংশগ্রহণে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।’