ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: শ্রম আইন লঙ্ঘনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে রায় ও দুদকের মামলায় উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শতাধিক নোবেলজয়ীসহ বিভিন্ন দেশের নেতৃস্থানীয় ২৪২ ব্যক্তি খোলা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা মামলা পর্যালোচনায় নতুন প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।’
এসব নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পাঠানো চিঠি ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে বলে প্রোটেক্ট ইউনূস নামে একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে। চিঠিতে মামলা পর্যালোচনায় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর প্রস্তাব করেছে এসব ব্যক্তি।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইনের ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এটি লেখা হয়েছে। এ নিয়ে মামলাকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীকে তৃতীয় দফায় বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা চিঠি লিখলেন।
প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ড. ইউনূস ইস্যুতে দ্বিতীয় দফার চিঠিতে ১০৮ নোবেলজয়ীসহ বিশ্বের ১৯০ জনের বেশি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা স্বাক্ষর করেছিলেন। এরপর গত আগস্টে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরকারীদের প্রতি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে খতিয়ে দেখার কথা বলেন। তিনি বলেন, যার বিরুদ্ধে মামলা তার সব দলিল দস্তাবেজ খতিয়ে তারা নিজেরাই দেখুক সেখানে কোনো অন্যায় আছে কিনা। তাদের এসে কী কী অসামঞ্জস্য আছে দেখা দরকার।
প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে চিঠিতে জানানো হয়েছে, আমরা আপনার ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করছি। (বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীদের’) এই পর্যালোচনা শুধু ১ জানুয়ারি রায় হওয়া শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা ঘিরে করলেই হবে না। দুদকের মামলাটি ঘিরেও করতে হবে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আমরা একজন জ্যেষ্ঠ আন্তর্জাতিক আইনজীবীর নেতৃত্বে স্বাধীন আইন বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর প্রস্তাব দিচ্ছি। এটি আমরা দ্রুতই করতে চাই। চিঠিতে পর্যালোচনা চলাকালে ড. ইউনূস ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে রায় স্থগিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
তৃতীয় দফার এ চিঠিতে মোট ২৪২ জন স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে ১২৫ জন নোবেলজয়ী রয়েছেন। স্বাক্ষরকারীরা হলেন বারাক ওবামা, শিরিন এবাদি, আল গোর, তাওয়াক্কুল কারমান, নাদিয়া মুরাদ, মারিয়া রেসা, হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোসসহ ১৬ জন শান্তিতে নোবেলজয়ী, ওরহান পামুক, জে এম কোয়েটজিসহ ৬ জন সাহিত্যে নোবেলজয়ী, জোসেফ স্টিগলিৎজসহ ১২ জন অর্থনীতিতে নোবেলবিজয়ীসহ ৩৬ জন রসায়নে, চিকিৎসায় ২৯ জন এবং ২৬ জন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী রয়েছেন।
এ ছাড়া জাতসিংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের স্যার রিচার্ড ব্রানসনসহ শতাধিক ব্যক্তি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, সামরিক কমান্ডারসহ শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা রয়েছেন।’