ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: রংধনু গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক পত্রিকা প্রতিদিনের বাংলাদেশে অস্থিরতা এখন চরমে। কর্মীরা একে একে পত্রিকাটি ছেড়ে যাচ্ছেন। বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, সম্পাদক মুস্তাফিজ শফিও দুই মাসের নোটিশ দিয়ে প্রকাশকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি এবং তার টিম কর্তৃপক্ষের অনেক অনৈতিক চাওয়া মেনে নিতে পারছেন না বলে জানা যায়। সেখানে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সিনিয়র সাংবাদিকরা।
সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ছাড়াও পদত্যাগ করেছেন প্রতিদিনের বাংলাদেশের ফিচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আবেদ, চিফ রিপোর্টার আজিজুল পারভেজ, ডেপুটি চিফ রিপোর্টার রাজবংশী রায়, সহকারী সম্পাদক (সাহিত্য) ফারুক আহমেদ এবং মার্কেটিং বিভাগের জিএম বশির আহমেদ পদত্যাগ করেছেন।
তাদের বেশিরভাগই সম্পাদকের কোর কমিটির সদস্য। সিনিয়র কর্মীদের মধ্যে সম্পাদকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সহযোগী সম্পাদক ইমতিয়ার শামীম, সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণুসহ আরও তিন-চার জন। পত্রিকায় কর্মরত সব সাংবাদিক -কর্মী এখন তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত।
সম্পাদক না থাকলে সাংবাদিকদের বড় অংশই পত্রিকাটিতে থাকবে না। তারা মনে করেন, রঙধনু গ্রুপের এই পত্রিকাটিতে এসে তারা প্রতারিত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ এযাবত তাদেরকে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেনি। সম্পাদকের সঙ্গে যে সমঝোতা স্বারক সাক্ষর করেছিলো তাও বাস্তবায়ন করেনি।
এদিকে পত্রিকাটির প্রকাশক এবং রংধনু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা্ পরিচালক কাউসার আহমেদ অপুর স্বেচ্ছাচারিতায় একে একে চাকরি ছাড়ছেন পত্রিকার ডিজিটাল বিভাগের কর্মীরাও। গত তিন দিনে পদত্যাগ করেছেন কমপক্ষে সাতজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মনগড়া অনৈতিক সাংবাদিকতা, সাংবাদিক-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা দিতে বিলম্ব এবং গ্রুপের সীমাহীন খবরদারীর প্রেক্ষিতে বেশকিছুদিন ধরেই পত্রিকাটির সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির সঙ্গে মালিকপক্ষের দূরত্ব বাড়ছিল।
সম্প্রতি কমপক্ষে ৬০ জন কর্মী ছাটাইয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলো মালিকপক্ষ। নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করতে অনৈতিক, অযাচিত নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছেন।
নানা বাহানায় এরই মধ্য পত্রিকাটির ডিজিটাল ও অনলাইন বিভাগ তারা নিয়ন্ত্রণে রেখে কাজ করছেন। বিভাগটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েই কয়েকদিন আগে তারা ডিজিটাল বিভাগের ১৩ জনকে এক সঙ্গে ছাঁটাই এবং ১৬ জনকে অবজারভেশনে রাখার ঘোষণা দেন।