নিজস্ব প্রতিবেদক: পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেম সংস্কারের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা ১৫ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গত ২১ মে থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে মাঠপর্যায়ে কর্মবিরতি চলছে, যাতে কোনো ধরনের জনদুর্ভোগ না হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, রোদ, ঝড় ও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই মানবেতর জীবনযাপন করে তারা কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে বলেও তারা জানিয়েছেন। মূল ৭ দফা দাবির মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণ রয়েছে সর্বাগ্রে। তবে তারা সুস্পষ্ট করেছেন—সুনির্দিষ্ট রূপরেখা বা লিখিত সিদ্ধান্ত ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না।
এ পর্যন্ত দেশের ১৩টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, জ্বালানি ও অর্থনীতিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পেশাজীবী এবং সামাজিক সংগঠন এই দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে সরকারের কাছে দ্রুত সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠিকাদারদের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। আন্দোলনকারীরা এই উদ্যোগকে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানালেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কোনো অবনতি হলে এর দায়ভার পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও বিদ্যুৎ বিভাগকে নিতে হবে বলে স্পষ্ট করেছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষে জানানো হয়, “আমরা কখনোই গ্রাহকদের ভোগান্তি চাইনি, চাইবোও না। জনগণের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে বিনীত আহ্বান—আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে কাজে ফেরার সুযোগ দেওয়া হোক।”
এই আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে সমিতির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রয়োজনে প্রতিবেদনে ছবি, বিক্ষোভে ব্যবহৃত ব্যানারের বক্তব্য কিংবা দাবি সম্বলিত আলাদা বক্স যুক্ত করা যেতে পারে। জানালে আমি সেটিও তৈরি করে দিতে পারি।