নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর ও শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের ভালুকা সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১৪ জুন দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চারিত হয়েছিল—তুমি কে, আমি কে—রাজাকার, রাজাকার। সেই দিনই মুক্তিযুদ্ধের ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে গিয়েছিল। বাকি ছিল শুধু জানাজা, যা হয়েছে ৫ আগস্ট। জানাজার পর তাঁর মরা লাশ যে দেশের মাল, সেই দেশেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।,
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানের ‘খান-পাঠান’ শাসনামলে দীর্ঘদিন বাঙালির ওপর বৈষম্য ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার মানুষ সেই শোষকদের বিদায় দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ব্রিটিশ, পশ্চিম বাংলার আধিপত্যবাদ এবং পশ্চিম পাকিস্তানের দখলদারিত্ব— তিনটি শক্তিকেই বাঙালি জাতি পরাজিত করেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের কারণে সেই বিজয়ের সুফল পুরোপুরি ঘরে তোলা সম্ভব হয়নি।
সংবিধান প্রসঙ্গে আল্লামা মামুনুল হক বলেন, স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে ফেরার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তাঁর দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন করেন। ভারতীয় সংবিধানের মূলনীতি কপি করে বাংলাদেশের সংবিধানে পেস্ট করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভারতের পায়ে উৎসর্গ করা হয়েছে।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি আতিকুল ইসলাম শেখ। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ খান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন— দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজিজ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভালুকা উপজেলা আমীর সাইফ উল্লাহ পাঠান। দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে গণসমাবেশের কার্যক্রম শেষ হয়।,
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.