
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে টানা ১২৩ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ‘আমজনতার দল’-এর সদস্যসচিব তারেক রহমান। ক্রমাগত শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে গেলেও সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন না কেউই। একদিকে তারেকের শক্তিশালী অনশন, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা। তবে ইতিমধ্যে কমিশন থেকে তারেকের ব্যাপারে মুখ খুলতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে দেখা যায়, মাটিতে বিছানো চাদরে স্যালাইন হাতে শুয়ে আছেন তারেক রহমান। দুর্বল কণ্ঠে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে তার। অনশনের জায়গাজুড়ে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ, সংহতি জানাতে এসেছেন কেউ কেউ, আবার কৌতূহল থেকেও দেখতে এসেছেন অনেকে।
দুর্বল কণ্ঠে তারেক বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি। এটা চলবে, অবশ্যই চলবে। কমিশন তিনটা উপজেলা কোথায় পেয়েছে? তারপর হঠাৎ সেটা ৩৩ কিভাবে হয়ে গেলো? আমি আমার দলের বিরুদ্ধে হওয়া কোন অবিচার মানতে রাজি না।’
এ বিষয়ে ইসির সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ আর যোগাযোগ করেনি। সেদিন একজন উপসচিব এসেছিলেন, তারপর আর কেউ আসেননি। কোনো চিঠি বা বার্তাও দেয়া হয়নি।’ নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে তারেক বলেন, ‘শরীরে অনেক ব্যথা করছে। তবে এমন অবস্থাতেও আমি অনশন চালিয়ে যেতে চাই।’
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। রোববার দুপুরে ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। আপনি আমাকে বলেন, ক্যান ইলেকশন কমিশন গো বিয়ন্ড দ্য রুলস? সো… ইউ গট মাই আনসার।’
গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে নির্বাচন কমিশন তিনটি দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। এরপর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় তারেক রহমানের ‘আমজনতার দল’। সেই দিন বিকেল থেকেই নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন তিনি, যা এখন টানা পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে।,











