
নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর দুই মাসের আমদানি বিল পরিশোধ করার পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) ১৬১ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ আকুকে পরিশোধ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে আকুভুক্ত দেশের সঙ্গে আমদানি লেনদেন বাবদ গৃহীত পণ্যের অর্থ পরিশোধে এই বিল দেওয়া হয়। আকুর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে লেনদেনের জন্য দুই মাস পরপর এ ধরনের বিল পরিশোধ করতে হয়।
গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। আকুর ১.৬১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর তা ৩১ বিলিয়নে নেমে আসে। তারপরও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবাহ ভালো থাকায় রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের ইতিহাসে ২০২২ সালের আগস্টে রিজার্ভ উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে। এরপর আওয়ামী সরকারের সময়ে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার কারণে রিজার্ভে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়। প্রতি মাসে রিজার্ভ কমতে কমতে সরকার পতনের আগে গত বছরের জুলাই শেষে তা ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে অর্থ পাচার রোধে কঠোর হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসময়ে বৈদেশিক ঋণের কিছু ডলারও যুক্ত হয়। বিগত আওয়ামী সরকারের রেখে যাওয়া প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের মেয়াদোত্তীর্ণ বকেয়াও পরিশোধ করে এ সময়ে। এরপরও রিজার্ভ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।
চলতি মাসের ৬ নভেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভ ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার ছিল। একই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে রিজার্ভ ২৮ বিলিয়ন ডলার ছিল।
সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসাবে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।,











