
ডেস্ক রিপোর্ট: জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের দলীয় গণসংযোগ চলাকালীন পিরোজপুর জেলায় গত ১৫ দিনে (১১ থেকে ২৫ এপ্রিল) দলটিতে যোগ দিয়েছেন সনাতন ধর্মের ৭২ নারী ও পুরুষ। তারা পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা।
পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী মাসুদ সাঈদীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে তারা দলীয় ফরম পূরণ করে দলটিতে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে পিরোজপুর সদরের ২০ জন এবং ইন্দুরকানী উপজেলার ৫২ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. জহিরুল ইসলাম জানান, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) প্রয়াত আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রতি তাদের আস্থা ও ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার ছেলে মাসুদ সাঈদীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন তারা।
কেন্দ্রঘাষিত গণসংযোগ উপলক্ষে মাসুদ সাঈদী সদর উপজেলার হুলারহাট, পিটিআই, খালিশাখালী, রায়েরকাঠি ও মরিচাল এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে গণসংযোগ করেন। এ সময় মাসুদ সাঈদীর আহ্বানে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অসংখ্য মানুষ সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এর মধ্যে সহযোগী সদস্য ফরম পূরণকারী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা হলেন- সদর উপজেলার কুণ্ড সাহা, বিশ্বজিৎ সাহা, জয় সাহা, সমিরণ দাস, উত্তম কুণ্ড, নিতাই কুণ্ড, অচিন কুণ্ড, সুনীল দাস, বানেশ্বর গ্রামের কৃষ্ণ রায়, কৃষ্ণ কুমার মাঝি, শিকারপুর এলাকার সুকান্ত, কদমতলা এলাকার রতন কুমার শীল, পালপাড়া এলাকার নিতাই মণ্ডল, সুকুমার রায়, মনিন্দ্র লাল সাহা এবং রাজারহাট এলাকার জয়দেব মিত্র। অন্যদিকে, ইন্দুরকানী উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আলী হোসাইন জানান, তার নিজ উপজেলা ইন্দুরকানীতে শিক্ষক পলাশ কান্তি মন্ডল, রবিন ডাকুয়া, বিমল ব্যাপারীসহ ৫২ সনাতন ধর্মালম্বী জামায়াতে যোগ দেন।
এ সময় কয়েকটি সংক্ষিপ্ত পথ সভায় মাসুদ সাঈদী বলেন, পিরোজপুরের সনাতন ধর্মালম্বী মানুষ জামায়াতের প্রতি যে ভালবাসা এবং আমার আব্বা হুজুর প্রয়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রতি মমত্ববোধ ও কৃতজ্ঞতা এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।
দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করা নিয়ে তিনি বলেন, লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলাই এখন জামায়াতের সবচেয়ে বড় কাজ। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে হলে আগে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। সেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার কোন বিকল্প নেই। যে স্বপ্ন নিয়ে লাখো মানুষ প্রাণ দিয়েছিল সেই স্বপ্ন পূরণে এখনো বৈষম্য রয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে এবং ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে। দুর্নীতি আমাদের সমাজ জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। সমাজ থেকে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দুর্নীতি দূর করে একটি শোষণ বৈষম্যহীন নীতি ও ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনের জন্য জামায়াতে ইসলামী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গণসংযোগকালে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জহিরুল হক, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, পৌর আমির মাওলানা ইসহাক আলী এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।’