
যশোর প্রতিনিধি: দখল ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইভাবে মনিরামপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তুহিন হোসেনকে এক ভ্যানচালক হত্যার ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত হওয়ায় সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুধু আনোয়ার বা তুহিন নন, গত ১৩ মাসে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত যশোরের অন্তত ২২০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা বিএনপি। একের পর এক এমন ঘটনার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাইকমান্ড থেকে কঠোর নির্দেশনা এলেও তৃণমূলে অনেক বিতর্কিত নেতাকর্মী তা উপেক্ষা করছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন সোমবার এক বিবৃতিতে জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত যশোর জেলায় ২২০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় দল নেবে না। বিএনপিতে দুর্নীতি বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কোনো স্থান নেই। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট।
উপজেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ছোট পদধারী নেতারা কারও না কারও ছত্রচ্ছায়ায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, দখল ও লুটপাট করছে। অভিযোগ উঠলেই দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় শোকজ, পদ স্থগিত বা বহিষ্কার করা হয়। তবে শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, আইনগত পদক্ষেপ না নিলে এদের দমন করা সম্ভব নয়।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, বিএনপি একটি বড় দল, তৃণমূলে নেতাকর্মীর সংখ্যাও বেশি। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কারও প্রতি কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।











