
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধ: বিভিন্ন হাট বাজার থেকে মাছ সংগ্রহ করেন ছাইদুর রহমান এরপর মাছ গুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার ও সিদ্ধ করে মাছ ভাজি তৈরি করে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপারা উপজেলার সলঙ্গা থানার শলি বনানী বাজারের পাশে ছোট্র আটচালা ঘরে বিক্রি করেন বিভিন্ন ধরনের সিঙ্গারা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে।
এই সিঙ্গারা বিক্রির টাকা দিয়েই চলে ছাইদুর রহমানের সংসার।
বুধবার (১৬এপ্রিল) সকালে উপজেলার শলি বনানী বাজারের পাশে ছোট্ট ঘরে প্রতিদিনের ন্যায় বিক্রি করতে দেখা যায় ছাইদুর রহমান কে।
এসময় কথা হলে ছাইদুর রহমান বলেন,১২ বছর ধরে এই সিঙ্গারা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। বছরের প্রায় সময় মাছ দিয়ে সিঙ্গারা,পুরি,চপ,ও পেজি বিক্রি করি। এই পেশা থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।
পিকেএসএফ মানব মুক্তি সংস্থার সহযোগিতায় খাবারের ডিসপ্লে বক্স,গ্যাসের চুলা,ব্লিন্ডার মেশিন,কাটিং ডিভাইজ,লিফলেট,এ্যাফরোন, হ্যান্ড গ্লোফ্স ও ঋন নিয়ে ব্যবসা শুরু করছি।
সবমিলিয়ে বেকার না থেকে সিঙ্গার বিক্রিকে পেশা হিসেবে নিয়ে অনেক ভালো আছি।’
সিঙ্গারার দাম আর বেচা-কেনা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ২০০থেকে ২৫০টি সিঙ্গারা বিক্রি করি।প্রতিপিছ সিঙ্গারার দাম ১০ টাকা দরে বিক্রি করি। এতে খরচ বাদে আয় হয় ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা।’
ছাইদুরের কাছে সিঙ্গারা খেতে আসা অনেকেই বলেন, ছাইদুর প্রতিনিয়ত এখানে বসে সিঙ্গারা বিক্রি করেন। তিনি আমাদের সবার কাছে পরিচিত মুখ।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী আলম হোসেন বলেন,মাছের সিঙ্গারা বিক্রি করে স্বাচ্ছন্দে সংসার চালাচ্ছেন ছাইদুর রহমা। বেকার না থেকে এভাবে ব্যাবসা করলে অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। চিন্তা ও ভারমুক্ত ভাবে তারা সংসার চালাতে পারেন।’
এবিষয়ে পিকেএসএফ মানব মুক্তি সংস্থার মৎস কর্মকর্তা অনুকুল চন্দ্র সিনহা ও সহকারী মৎস কর্মকর্তা শামিম মিয়া জানান,এই ব্যাবসায়ী কে মানবমুক্তি সংস্থা থেকে ব্যাবসা পরিচালনা ক্ষেত্রে ঋন ও বিভিন্ন ধরনের উপকরন দেয়া হয়েছে।