
নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাতিল করা ৪৩ লাখ ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে অন্তত ৩৫ লাখ এখনো বিতরণ করা যায়নি। অর্থাৎ প্রায় ৮১ শতাংশ কার্ড নতুন উপকারভোগীদের হাতে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে।
২০২২ সালে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির শৃঙ্খলা আনতে চালু হয় ফ্যামিলি কার্ড ব্যবস্থা। লক্ষ্য ছিল এক কোটি পরিবারকে এ ব্যবস্থার আওতায় আনা। কিন্তু অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে সরকার প্রায় ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করে। তখন দ্রুত নতুন করে বিতরণের ঘোষণা দেওয়া হলেও বাস্তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
টিসিবির মুখপাত্র শাহাদাত হোসাইন জানান, এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে, যার মধ্যে সচল রয়েছে ৬০ লাখ। তবে বাকি ৩৫ লাখ কার্ড সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পর্যায়ের তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।
ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে স্থবিরতার কারণে বর্তমানে কার্ড ছাড়াই ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এ সুযোগে একই ব্যক্তি বারবার পণ্য সংগ্রহ করছেন এবং অভিযোগ রয়েছে সচ্ছলরাও এসব পণ্য নিচ্ছেন। ফলে প্রকৃত নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।
চলতি কার্যক্রমে ঢাকা মহানগরের তিনটি অঞ্চলসহ চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট সিটি করপোরেশন এবং দেশের ৯৪টি উপজেলায় বিক্রি হচ্ছে টিসিবির পণ্য। প্রতিটি পরিবার দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি চিনি ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারছে। কার্ডবিহীনদের জন্য এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ভোজ্যতেল লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা, চিনি কেজিপ্রতি ৮০ টাকা ও মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৭০ টাকা।
টিসিবির মতে, বাকি ফ্যামিলি কার্ড দ্রুত বিতরণ করা গেলে অনিয়ম ও ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে।