
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কের বড় অংশ এখন হোটেল ব্যবসায়ীদের দখলে। হাইওয়ের ধার ঘেঁষে গড়ে ওঠা অসংখ্য খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্টের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। নিয়মিত ঝরছে তাজা প্রাণ—অথচ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে শুরু করে বগুড়া পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য খাবার হোটেল। বেশির ভাগ হোটেলই মূল রাস্তার সঙ্গে জোড়া লাগানো। রাস্তার পাশ দখল করে রাখা এসব হোটেলের সামনে প্রতিনিয়ত থামে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক। এতে হাইওয়ের স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল মালিক ইউটার্নের আশপাশে বিলাসবহুল হোটেল গড়ে তুলেছেন। অনেক সময় গাড়ি উল্টো পথে এসে হোটেলে ঢোকে এবং খাবার শেষে একইভাবে উল্টো পথে বের হয়। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রতিনিয়ত ঝরে যাচ্ছে প্রাণ।
পথচারী ইসরাফিল হোসেন বলেন, “আমরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হই। হোটেল থেকে উল্টো পথে আসা গাড়িগুলো ভয় ধরিয়ে দেয়। সরকার যদি এসব হোটেল ও বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তাহলে আমরা কিছুটা হলেও নিরাপদ থাকব।”
একইভাবে নাসির উদ্দিন নামের আরেক পথচারী বলেন, “আমার ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে স্কুলে যায়। হোটেলের কারণে উল্টো পথে গাড়ি চলে—এতে দুর্ঘটনা ঘটে নিয়মিত। আমরা আতঙ্কে থাকি। সরকারের কাছে অনুরোধ, যেন দ্রুত এসব হোটেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।”
জাহিদুল ইসলাম নামে এক স্কুলছাত্র জানায়, “রাস্তা পার হতে খুব ভয় লাগে। হোটেলের সামনে গাড়ি উল্টো দিক থেকে এসে হুট করেই চলে যায়।”
সাসেক-২ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইন্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান রাসেল জানসন “হাইওয়ে পুলিশের এসপির কাছে চিঠি পাঠানো হবে। যাতে রাস্তার পাশে থাকা হোটেল থেকে উল্টো পথে চলাচলকারী গাড়ি ও চালকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়া যায়।”
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “উল্টো পথে গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি হোটেল মালিকদের ডেকে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আলোচনা করা হবে।”
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের দ্রুত উদ্যোগ ছাড়া মহাসড়ক এখন ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হচ্ছে।#













