
নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুম, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি পৃথক মামলায় হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের আনা হয়েছে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে হাজির করা হয়। তবে কতজন কর্মকর্তাকে আনা হয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি নেবে।
মোট তিন মামলায় আসামির সংখ্যা ৩৪ জন। এর মধ্যে একটিতে ১৭, অন্যটিতে ১৩ এবং তৃতীয়টিতে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। দু’টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও রয়েছে। সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে হেফাজতে আছেন।
ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্ট এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কাকরাইল, মৎস্য ভবন ও পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে।
প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের হাজিরের দিন আজ নির্ধারিত ছিল। কেউ উপস্থিত না হলে তাদের হাজিরের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। হাজির হলে ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী কারাগারে পাঠানো হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কারা কর্তৃপক্ষ।
টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই) গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গত ৮ অক্টোবর দাখিল করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং আজকের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ দেয়।
একই দিন আয়নাঘর নামে পরিচিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তারিক রহমানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে, এবং জুলাই-আগস্টে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পক্ষে শুনানি করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং হাজিরের নির্দেশ প্রদান করে।