
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের বড় রপ্তানিকারক দেশগুলো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করে নিজেদের রপ্তানি খাত শক্তিশালী করছে। বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে ৪০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে এফটিএ করেছে। এর ফলে দেশটি তৈরি পোশাকের বাজারে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। কম্বোডিয়া, ভারত, চীন, ফিলিপাইন ও তুরস্কও এ ধরনের চুক্তির মাধ্যমে রপ্তানিতে সুবিধা পাচ্ছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কেবল ভুটানের সঙ্গে একটি পিটিএ করেছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে দেশের পোশাক রপ্তানি খাত। ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে গেলে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা কমে যাবে, যা খাতটিকে আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ডিসেম্বরের মধ্যে জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। এটিই হবে দেশের প্রথম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। ইতোমধ্যে পাঁচ দফা আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। চুক্তিতে বাণিজ্য, শুল্ক, বিনিয়োগ, ইলেকট্রনিক বাণিজ্য, শ্রম ও পরিবেশসহ ১৭টি খাত অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এ ছাড়া আগামী বছরের নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরবর্তী ধাপে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, চীন, ব্রাজিলসহ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট আরসিইপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ও বিবেচনায় আছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। অন্যথায় রপ্তানি খাতে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়বে।”
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, ২০২৬ সালের আগেই কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জাপানসহ একাধিক দেশের সঙ্গে ইপিএ ও এফটিএ করার জন্য আলোচনা চলছে।