নিজস্ব প্রতিবেদক: মগবাজারে বেসরকারি ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এতে ১১ জন কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি)। হামলার ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আহতরা হলেন, ইলেক্ট্রিশিয়ান মো. হানিফ, কেয়ারটেকার মো. কবির হোসেন, পরিচ্ছন্নকর্মী মো. সোহেল, এটেন্ডেন্ট মো. রেজওয়ান, মো. হাসান সরদার, ইলেক্ট্রিশিয়ান মো. নাঈম ইসলাম, সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. ফকরুল ইসলাম, রিসিপশন ইনচার্জ মো. আজিজুল ইসলাম, মো. রিয়াজ সরদার, মো. রেজা, মো.রুবেল হোসেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বুধবার রাত ১০টায় মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের সামনে অবস্থিত বৈদ্যুাতিক খুঁটিতে এবিএস রেন্ট-এ-কারের সাইনবোর্ড টানাতে নিষেধ করলে রেন্ট-এ-কার প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের এজিএম মো. হাফিজুর রহমানকে ভয়ভীতি ও হুমকি এবং হাসপাতালের স্টাফদের লোহার রড, কাঠ ও বেতের লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে আক্রমণ করে। আক্রমণকারীরা দলবদ্ধ হয়ে হাসপাতালের এজিএমকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে হাসপাতালের ডিউটিরত স্টাফরা তাদের বাধা দিলে রেন্ট-এ-কারের মালিক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে প্রিন্স, সাইদ, ওয়াহিদ, সুমন, লিমন, শুভ এবং রেন্ট-এ-কারের স্টাফরা এই হামলা চালায়। তারা হাসপাতাল ভাঙচুরসহ স্টাফদের ওপর আক্রমণ করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলাকারীরা হাসপাতালের স্টাফদের মানিব্যাগে থাকা নগদ টাকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও হাসপাতালের মালামাল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি করে।
এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ডিউটি অফিসার এস আই আলামিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা করেছেন। তবে এখনও কোনও আসামি গ্রেফতার হয়নি।: