মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে পাঁকা সড়কের কার্পেটিং। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার রামনগর বাজারের ৩ কিলোমিটার এ গ্রামীন সড়কটিতে নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এমন পরিনতি হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে, মানসম্মত কাজের দাবী জানান এলাকাবাসী।এদিকে উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্ত করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মন্টপ থেকে মানিকনগর পর্যন্ত ৩ কিলো ১০০ মিটার সড়কের সংস্কার কাজ পায় মেসার্স নাহিদ এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার টাকার প্রকল্পটি এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কাজের ধীর গতির কারণে বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া কাজ শেষ করার কথা ছিলো ওই বছরের ১ ডিসেম্বরে।পরবর্তীতে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন মেসার্স নাহিদ এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানটি।
রামনগর গ্রামের মোঃ আনসার বলেন, এখনো শেষ হয়নি পুরো সড়কের সংস্কার কাজ। যেসব অংশে কার্পেটিং শেষ হয়েছে, হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। কতটা দুর্নীতি ও অনিয়ম হলে সড়কটির এমন পরিণত হয়। সড়কটি সংস্কারে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে। তাই কার্পেটিং করার দুইদিন পর হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং।
স্থানীয় নুরুল ইসলাম বলেন , শুরু থেকে সড়কটিতে নিম্নমানের কাজ হচ্ছিল। বাধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার কাজ অব্যাহত রাখেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে, মানসম্মত কাজের দাবি জানাই। তা না হলে আমারা এ নিম্নমানের কাজ চলতে দেব না।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাহিদ এন্টারপ্রাইজের মালিক নাহিদ সেরনিয়াবাত বলেন, নির্মাণ কাজে অনিয়ম হয়নি। তবে যদি কার্পেটিং করা সড়কে কোন সমস্যা হলে পুনরায় সংস্কার করা হবে।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমানের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে যদি নিম্নমানের কাজ হয়ে থাকে তদন্ত করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।