
তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৮টি ইউনিয়ন কমিটিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি গোপাল চন্দ্রের বিরুদ্ধে।
এমনকি কমিটিতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অনুসারীদেরও ঠাঁই করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর এর প্রতিকার চেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিতভাবে এসব অভিযোগের কথা জানিয়েছেন তারা।
এ দিকে উপজেলা ৮নং দেশিগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাছেদ আলীকে কৃষকদলের সভাপতি করায় শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে তাড়াশ প্রেসক্লাব চত্ত¡রে কৃষকদলের অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ৮নং দেশিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
এ সময় বক্তব্য দেন, ৮নং দেশিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি প্রভাষক সুশীল কুমার, সহ-সভাপতি মো. রুহুল আমিন, কৃষকদলের আহব্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব মো. শরীফুল ইসলাম, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস সামাদ, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মো. হাফিজুর রহমান, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. উজ্জ্বল হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহাগ হোসেন প্রমূখ।
এ সময় বক্তরা বলেন, তাড়াশ উপজেলা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি গোপাল চন্দ্র টাকার বিনিময়ে মো. বাছেদ আলীকে ৮নং দেশিগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি করেছেন। ওই বাছেদ আলী ৮নং দেশিগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অথচ আমরা যারা ত্যাগী, তাদের ঠাঁই হলো না। জেলা বিএনপি কমিটির কাছে আমরা এর সুরাহা চাই। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং এ কমিটি বাতিল করার জোর দাবি জানান।
মাববন্ধনে ৮নং দেশিগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব মো. শরীফুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে থেকে মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। কিন্তু যখনই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে, তখন সুবিধাবাদী নেতারা এসে টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পর্যন্ত কৃষক দলের কমিটিতে ঠাঁই করে দিচ্ছেন।
৮নং দেশিগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের আহব্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিটি ঘোষণার আগে আমাদের অবগত করা হয়নি। এরই মধ্যে এসব কমিটি নিয়ে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপি তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তাড়াশ উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি গোপাল চন্দ্র বলেন, ওই ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের তালিকা অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষকদলের সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।