
আব্দুর রাজ্জাক বাবু সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি সাব রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ে প্রবাসীর জমি জাল স্বাক্ষরে রেজিষ্ট্রি নেওয়ানেওয়ায়,
জমির দলিল বাতিল এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে জমির দলিল বাতিলে সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার বরাবর লিখিত আবেদন করেন, ভুক্তভোগী জিতেন্দ্রনাথ পোদ্দারের ভাতিজা উত্তম কুমার পোদ্দার, তিনি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গাবগাছী গ্রামের মৃত নগেন্দ্রনাথ পোদ্দারের ছেলে।
লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, জিতেন্দ্রনাথ পোদ্দার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়ি ও জমি বাংলাদেশে রেখে প্রায় ২০ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। প্রায় ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলাদেশে আসেননি। এ অবস্থায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলকুচি সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ে জিতেন্দ্রনাথ পোদ্দারের ০.২৮৩৮৩ শতাংশ জমি বিক্রি কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি হয়। রেজিষ্ট্রি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারি ও দলিল লেখক আব্দুল মতিনের সঙ্গে ক্রেতা বীরেন্দ্রনাথ পোদ্দারের মেয়ের জামাই বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার পশ্চিম দত্তপাড়া গ্রামের সমীরন মন্ডলের যোগসাজস করে এই জমিটি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছেন। তারা বিদেশে অবস্থান করা জিতেন্দ্রনাথের স্বাক্ষর নকল করে দলিল সম্পন্ন করেন।
লিখিত আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দলিলের বিষয়টি জানতে পেরে জিতেন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কখনোই দেশে আসি নাই এবং আমার জমি রেজিষ্ট্রি করে দেই নাই।
সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার শরীফ তোরাফ হোসেন বলেন, আমরা লিখিত আবেদন পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বেলকুচি সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে এভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জমি রেজিষ্ট্রি করে অনেক মানুষকে নিঃস্ব করা হয়েছে। এছাড়াও দলিল প্রতি সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মচারিদের বিরুদ্ধে।











