স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় নাগরিক গীতা রানী ,পেয়েছেন পদোন্নতি

এবি সিদ্দিক ভূইয়া: গীতা রানী বিশ্বাস আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে রয়ের এজেন্ট হিসাবে কিছুদিন কাজ করার পরেই। ভারতকে সম্পূর্ণরূপে তথ্য দেওয়ার পরেই পুরস্কার স্বরূপ সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার পদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকা জেলা কোটায় মতিঝিল বৌদ্ধ মন্দিরের ঠিকানা দিয়ে (ভারতীয় নাগরিক) কে চাকুরি,পরে পদোন্নতি। ভারতকে সম্পূর্ণরূপে তথ্য দেওয়ার পরেই পুরস্কার স্বরূপ ভারতীয় হাই কমিশনের পরামর্শক্রমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার পদে নিয়োগপত্র ছাড়াই ২০১৫ সালের শেষের দিকে চাকরি পায় গীতা রানী বিশ্বাস। সে সময়ে তার স্থানীয় ঠিকানা দেওয়া হয় ঢাকার মতিঝিল বৌদ্ধ মন্দির।ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার কারণে তাকে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য তদবির আসে। একাধিকবার মিশন দেওয়া হয়েছে। মিশনে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে পাঠানোর কথা।

কিন্তু বাংলাদেশে টাকা না পাঠিয়ে ভারতের নাগরিক হওয়ার সুবাদে মিশনের টাকাও ভারতে পাঠিয়ে দেয়। ভারতের গোয়েন্দা র কে তথ্য দেওয়ার জন্য ভারতের সুপারিশ ক্রমে পরে তার পদোন্নতি হয়। বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ভারতের গোয়েন্দা র এজেন্ট গীতা রানী বিশ্বাস কর্মরত (বর্তমান) রয়েছেন। অথচ অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এ কর্মকর্তা। ভারতের গোয়েন্দা রয়ের সাথে কাজ করা কিছু কর্মকর্তা তাকে মিশনে পাঠানোর জন্য জোর তদবির চালাচ্ছে। বিপ্লবী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনো কিছু কর্মকর্তা ভারতের গোয়েন্দা র হয়ে কাজ করেন একটি সূত্র জানিয়েছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,শ্রমিক লীগকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ! রয়েছে। বর্তমানেও ভারতের গোয়েন্দা

র কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ ভারতে পাচার করেন। ভারতে তার স্থায়ী ঠিকানা হওয়ার কারণে সেখানে আত্মীয়-স্বজনের নামেও ঘরে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বাংলাদেশের নাগরিককে বিবাহ করেন। সেই সুবাদে জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রচুর সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অসৎ উপার্জনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন চাকুরীর পেশাকে। নিকট আত্মীয় স্বজনের নামে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন এ কর্মকর্তা। বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে,ভিনদেশী নাগরিকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদ বা সরকারি দপ্তরে, স্থায়ী চাকরিতে নেয়া যাবে না।বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা /এ দেশের নাগরিক হতে হবে। অথচ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় নাগরিক তথা রয়ের এজেন্ট হিসাবে কাজ করা ব্যক্তি বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে বেতন নিচ্ছে। তথা প্রজাতন্ত্র কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে বেতন নিচ্ছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মেধাবী বেকার চাকরির অভাবে বিভিন্ন দপ্তরের ঘুরছে। বিভিন্ন দপ্তরে চাকরীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হলে দেখা যায় কত শিক্ষিত মেধাবী বেকারের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ। এদেরকে সুযোগ না দিয়ে ভিনদেশি নাগরিককে চাকরি দিয়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে খুশি করার জন্যই চাকরী দেওয়া হয়। একটি দেশের নাগরিকের মৌলিক অধিকার যে সংবিধান দিয়েছে। সেই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে ভিনদেশি নাগরিককে চাকরি দিয়ে।

সূত্রে জানা যায়, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পুরো আমল জুড়ে এ কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থেকে ফয়দা লুটেছেন।এ কর্মকর্তা সাবেক মন্ত্রী আওয়ামীলীগের নেতাদের সঙ্গে ছিল নিবিড় সম্পর্ক।

তার শশুর এলাকায় একাধিক ব‍্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ ভারতের পাচার করেছে।ভারতে তার স্থায়ী ঠিকানা হওয়ার কারণে সেখানে আত্মীয়-স্বজনের নামেও ঘরে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে আমাদের এলাকার এক ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই সুবাদে জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেছে তার স্বামী ও শশুর বাড়ির সহযোগীতায়।আওয়ামী লীগের রাজনীত সাথে জড়িত তার শশুর বাড়ির পরিবার।তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা সত্য। তার নিজ শশুর বাড়ির এলাকার বিভিন্ন ব‍্যক্তির কাছ থেকে আরো জানা যায়। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র ও আওয়ামী লীগের তথ্য সন্ত্রাসীদের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এদের মূল উদ্দেশ্যই হলো ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ভারতের গোয়েন্দা র এজেন্ট গীতা রানী বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। বার বার খুদে বার্তা দিয়েও সারা মেলেনি। পরে ভারতীয় নাম্বার থেকে হিন্দি ভাষায় কল আসে হিন্দি ভাষায় কি জানি বলার চেষ্টা করে। পরে ফোনটি কেটে দেয়।

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বলেন,সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার না দিয়ে সরাসরি ভারতের নাগরিক দের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এ সকল তথ্য অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি। সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার পদে ঢাকা জেলা কোটায় ভারতীয় নাগরিকের চাকরি ! পরে পদোন্নতি এটা শুনি নাই। আজ শুনলাম এটা যারা করেছে, তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তাহার সাথে যারা জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটি কোন ছোট্ট অপরাধ নয়।দুর্নীতি কখনো ছোট বড় নয় দুর্নীতি তো দুর্নীতিই সেটি যেমনই হোক। ছোট ছোট দুর্নীতি থেকেই বড় বড় দুর্নীতির জন্ম দেয়। দুদক আগের চেয়ে ভালো কাজ করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। দুদকের দুর্নীতির বিষয়ে আর বিশদ অনুসন্ধান প্রয়োজন। একইসঙ্গে দুদকের জনবলেরও ঘাটতি রয়েছে সেগুলোর সমাধান প্রয়োজন। কেননা যে তুলনায় দুর্নীতির অভিযোগ আসে সেই তুলনায় দুদক অনুসন্ধান করতে পারে না। যদি সকল দুর্নীতি দুদক অনুসন্ধান করতে পারতো তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে আসত। তবে আমরা আশাবাদী দুর্নীতিবাজদের শিকড় উপড়ে ফেলা সম্ভব সেটি একদিন হবেই।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বলেন,আমরা অনেক দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছি।সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ে সরকারের সহযোগিতায় ভারতের নাগরিকরা চাকরি নিয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা র এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছে। এ তথ্য অনেক আগেই শুনেছি। সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম- কম্পিউটার পদে ঢাকা জেলা কোটায় ভারতীয় নাগরিকের চাকরি ! পরে পদোন্নতি এ ঘটনা আগে শুনিনি। এমন ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রয়োজন।যদি অভিযোগ পাই তদন্তের মাধ্যমে আইন আনুগব‍‍্যবস্থা গ্রহন করা হবে।যারাই অপরাধ করুক না কেন আমাদের অনুসন্ধানে যদি কোনোভাবে প্রমাণিত হয়।তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব এবং প্রয়োজনীয় যত ব্যবস্থা আছে তা নেব। কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (জননিরাপত্তা বিভাগ) সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার পদে ঢাকা জেলা কোটায় ভারতীয় নাগরিকের চাকরি ! পরে পদোন্নতি কোন সুযোগ নেই। যদি করে থাকেন তাহলে সেটা অপরাধ। অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি পেলেই অভিযোগ গুলো তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব‍্যবস্থা করা হবে।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

হিজবুল্লাহর হামলায় ৪ ইসরায়েলি সেনা আহত’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল জানিয়েছে, লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের চার সেনা আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে লেবানন সীমান্তে রাতে

রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে মীমাংসার চেষ্টায় ছাত্রনেতারা 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক জটিলতা প্রকাশ পাওয়ায় এবার বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে সামলানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।’

‘বাংলাদেশের বিষয়ে কেন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কথাই শুনল’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে হুঙ্কার দিয়েছিল, ভয় ভীতি দেখিয়েছিল তা কেটে গেছে। বরং গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সুস্পষ্টভাবে

রায়গঞ্জে গুড নেইবারসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী

সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণা’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে সংরক্ষিত আসনে ৪৮ জন নারী প্রার্থীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিকেলে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। যারা আওয়ামী

নওয়াপাড়া বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বিপুল পরিমাণ সার ও নকল বস্তা উদ্ধার

জেমস আব্দুর রহিম রানা: যশোরের নওয়াপাড়ায় সারের বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও