নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদারীপুরের কালকিনিতে এক অসহায় শিক্ষিকার পরিবারের বসতঘরে তালা মেরে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টা পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে। এই ঘটনায় রোববার (১৭ মার্চ') সকালে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার সাহেবরামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর এলাকার ওই শিক্ষিকার সঙ্গে কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর রাজদী গ্রামের নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে খোকনের প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে ওই শিক্ষিকা তার স্বামীকে প্রায় তিন মাস আগে তালাক দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষিকার বসতঘরের কেঁচি গেটে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তালা মেরে রাখে তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী। এতে করে ওই শিক্ষিকার পরিবারের সকল সদস্যরা জিম্মি হয়ে পরেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহিম মুরাদ সরদারের সহযোগিতায় রাত ৯টার দিকে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফেরদাউস আলম সরদার ও সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান স্থানীয় লোকজনদেরকে নিয়ে ওই শিক্ষক পরিবারের বসতঘরের কেঁচি গেটের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করেন।'
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামীর অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে তাকে আমি তালাক দিয়েছি। তাই সে আমার বাবার বসতঘরে তালা মেরে আমাদের হত্যার চেষ্টা চালায়। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করবো। এই ঘটনা জানার জন্য খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফেরদাউস আলম সরদার বলেন, শিক্ষক পরিবারকে জিম্মি করে রাখার বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আমরা তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করেছি। এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষকের বসতঘরে তালা মেরে জিম্মি করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তবে এর আগেও ওই শিক্ষিকার তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.