ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: চার মাস ধরে খোঁজ মিলছিল না ২৮ বছর বয়সী মমতা কাফলের। স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান তার স্বামী নরেশ ভাট (৩৭)। ঘটনার তদন্তে নেমে হতবাক হয় পুলিশ। বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশি তদন্ত থেকে জানা যায়, মমতা কাফেলকে হত্যা করেছে তার স্বামী নরেশ ভাট। স্ত্রীকে হত্যা করার আগে নরেশ গুগলে সার্চ করে দেখেছেন যে, স্ত্রী মারা যাওয়ার কতদিন পরে স্বামী ফের বিয়ে করতে পারেন। এরপর স্থানীয় দোকান থেকে হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনেন তিনি। এর মধ্যে ছিল ওয়ালমার্টের শোরুম থেকে কেনা তিনটি ধারালো ছুরি। ওই ছুরিগুলো দিয়ে স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করেন নরেশ।
ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকায়। বুধবার (৪ ডিসেম্বর)। হিন্দুস্তান টাইমস এর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
পুলিশ জানান, এ ঘটনায় তারা নরেশের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিলেন। একপর্যায়ে নরেশের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ঘরের একাধিক জায়গায় রক্তের ছাপ, নতুন ছুরি দেখতে পান তারা। এতে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। শেষটায় ক্লু দেয় অভিযুক্তের মোবাইল ফোন। এর পর খুনের বিষয়ে মোটের উপর নিশ্চিত হয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে জেলবন্দি হয়ে দিন কাটছে নরেশের।
পুলিশ আধিকারিক মারিও লুগো আমেরিকান সংবাদ সংস্থা এপির সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘প্রথম থেকেই আমরা বলছিলাম যে এটা খুনের ঘটনা। দেহ না পাওয়ার বিষয়টির জেরে আমাদের মামলা আরও শক্তপোক্ত হবে।’
প্রসঙ্গত, আমেরিকার ভার্জিনিয়ার বাসিন্দং নরেশ ভাট। বিয়ে করেন নেপালের বাসিন্দা ২ন মমতা কাফলেকে। বিয়ের পর সুদূর আমেরিকায় নিয়ে যান স্ত্রীকে। সেখানে নার্সের চাকরি করতেন মমতা। মমতার সাথে বনিবনা না হওয়ায় তাকে হত্যা করেছেন স্বামী নরেশ ভাট।:
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.