
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়ির সামনে অনশন করছেন এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়নের বেগমনগর গ্রামে। অনশনরত তরুণীর নাম সুলতানা খাতুন। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে এবং ঢাকার একটি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত।
সুলতানার দাবি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে রাজশাহী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নাহিদ চট্টগ্রামে কর্মস্থলে এবং সুলতানা ঢাকায় ফিরে যান। কিন্তু গত এক-দেড় মাস ধরে নাহিদ যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে জানতে পারেন, নাহিদ গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছেন। তাই স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তিনি শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেন।
সুলতানা অভিযোগ করেন, অবস্থানকালে তার ব্যাগে থাকা বিয়ের ডকুমেন্টস ও ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া নাহিদের বাবা হুমায়ুন রেজা, চাচা আব্দুল লতিফ ও স্থানীয় কয়েকজন তাকে মারধরের চেষ্টা করেন।
নাহিদের পরিবারের দাবি, তারা মেয়েটিকে চেনেন না। নাহিদের বাবা বলেন, “সে যদি আমার ছেলের বউ হয়, কাবিননামা দেখাক। তাহলে মেনে নেব।”
নাহিদ ফোনে বলেন, “সুলতানা আমার মাদ্রাসার সহপাঠীর বড় বোন। তার সঙ্গে কখনো প্রেম বা বিয়ের সম্পর্ক ছিল না।”
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনজারুল ইসলাম জানান, “ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মেয়েটি জোর করে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছে। তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।”
গোমস্তাপুর থানার ওসি আব্দুল ওয়াদুদ জানান, কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।