
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আলী রায়হানের পিতা এ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় আরও কয়েকজন শহীদের পরিবারের সদস্যরা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ ১ যুগের বেশি সময় পর এবার প্রকাশ্যে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে দলটির সারা দেশের শপথধারী সদস্যরা ও জামায়াতের শীর্ষ নেতারাসহ বিভিন্ন দলের আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত হয়েছেন।
এ সম্মেলনেই ২০২৫ সেশনের জন্য নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। এজন্য গত ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে গতকাল (সোমবার)। রাত ৯টা পর্যন্ত সদস্যরা অনলাইনে ভোট দিয়েছেন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শিবিরের ঐতিহ্য অনুযায়ী শহীদের পিতা এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। দুটি সেশনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উন্মুক্ত সেশন ও দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কার্যকারী সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
একই দিন বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করবেন সরকার পতন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
তবে পৃথক সময় ও স্থানে ডাকা সংগঠন দুটির কর্মসূচি ঘিরে এখন রাজনীতি মহলে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণার পরিবর্তে আজ ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।’
গতকাল সোমবার দিনগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত জন আকাঙ্ক্ষা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েমের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পটভূমিতে আবির্ভূত হয়েছে। হাজারও শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও জন-আকাঙ্ক্ষার দলিল স্বরূপ ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ অত্যাবশ্যক ছিল। এ ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্তায়। নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব নিয়েছিল।’