অনলাইন ডেস্ক: সুদানের দারফুর অঞ্চলের রাজধানী এল-ফাশারের সৌদি হাসপাতালে ড্রোন হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু মানুষ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি)। রাতে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলায় ৬৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মী এবং একটি চিকিৎসা সূত্র শনিবার এএফপিকে জানিয়েছে। মূলত সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশারের সর্বশেষ যে কয়েকটি হাসপাতাল কার্যকর রয়েছে তার একটিতেই এই ড্রোন হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবারের ড্রোন হামলায় আহতদের মধ্যে শনিবার আরও ৩৭ জন মারা গেছেন, যার ফলে নিহতের সংখ্যা ৬৭ জনে পৌঁছেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সৌদি হাসপাতালে বোমা হামলার ফলে হাসপাতালের ভবনটি ধ্বংস হয়। সেখানে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হত। সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে কোন পক্ষ এই হামলা চালিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
মেডিকেলসূত্র জানায়, একই ভবনে কয়েক সপ্তাহ আগে একটি আরএসএফ ড্রোন আঘাত করে। এল-ফাশারের স্বাস্থ্যসেবার ওপর হামলা ব্যাপক হারে বেড়েছে। চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানায়, এই মাসে সৌদি হাসপাতালটি একমাত্র সরকারি হাসপাতাল যা অস্ত্রোপচার করার সুবিধাসম্পন্ন অবস্থায় ছিল।
আঞ্চলিক গভর্নর মিনি মিনাউই শনিবার তার এক্স অ্যাকাউন্টে রক্তাক্ত মৃতদেহের গ্রাফিক ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, এই হামলায় নারী ও শিশুসহ ৭০ জনেরও বেশি রোগীকে 'নিঃশেষ' করা হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, সুদানে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে এবং যুদ্ধরত এই দুই পক্ষের মধ্যে ঠিক কোন পক্ষ এই হামলা চালিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। সুদানের আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের সাথে যুদ্ধ করছে দেশটির সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দারফুরের প্রায় পুরো বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চল দখল করে নিয়েছে আরএসএফ।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশজুড়ে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। যুদ্ধটি এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। বাস্তুচ্যুত করেছে ১ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।'