
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুদানে প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) ভয়াবহতার তথ্য ধীরে ধীরে সামনে আসছে। দেশটির দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশার শহরে যেন নৃশংসতা তারা চালিয়েছে সেগুলোর বর্ণনা দিচ্ছেন বেঁচে আসা মানুষ।
জানা গেছে, আরএসএফের ফাইটাররা মা-বাবার কাছ থেকে সন্তানদের ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করেছে। অনেককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসব বাবা-মা জানেন না তাদের সন্তান বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে।,
জাহরা নামে এক মা গত পরশুদিন এল-ফাশার থেকে পালিয়ে নিকটস্থ তাওইলা শহরে এসেছেন। তার ছেলেকেও নিয়ে গেছে আরএসএফ। তিনি বলেছন, “আমি জানি না আমার ছেলে মোহাম্মদ বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। তারা সব ছেলেদের নিয়ে গেছে। গারনি শহরের কাছে আসার পর আরএসএফ আমার ১৬ ও ২০ বছর বয়সীকে ছেলেদের আটক করে। তাদের কাছে ছেলেদের ভিক্ষা চাই। কিন্তু তারা আমার ২০ বছর বয়সী ছেলেকে ছাড়েনি। তাকে নিয়ে গেছে।”
“আমার ছেলেরা নাকি সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করেছে। এ অভিযোগ করে আমার সামনে তাদের লাঠি দিয়ে অনেক মারধর করা হয়।”— বলেন অ্যাডাম।
এরপর তিনি যখন গারনি শহরে আসেন তখন আরএসএফ তাকে আবারও আটক করে। ওই সময় তার জামায় ছেলেদের রক্ত লেগেছিল। রক্ত দেখে তারা অভিযোগ করে অ্যাডামও সেনাবাহিনীর সদস্য। এরপর কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এল-ফাশার শহর দখল করে আরএসএফের ফাইটাররা। এরপর ওই শহর থেকে অন্তত ৬৫ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছেন।
আরএসএফ শহরটি দখলের আগে সেখানে ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ থাকতেন।,










