
নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সিপাহি পদে ভুয়া নিয়োগপত্র ও পুলিশ ভেরিফিকেশন দেখিয়ে সিরাজগঞ্জের এক যুবকের কাছ থেকে প্রায় ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী যুবক মো. আব্দুল মালেক এই অভিযোগ করেছেন। তিনি উল্লাপাড়ার বেতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
প্রতারনাকারীরা হলেন ঢাকা মিরপুরের সামরিক বাহিনী কমান্ড স্টাফ কলেজের অফিস সহায়ক ফিরোজ, ঢাকা মধ্য বাড্ডার প্রবাসী এজেন্সি ব্যবসায়ী রাশিদুল।
অভিযোগে বলা হয়, ফিরোজ ও রাশিদুল নামের দুই ব্যক্তি প্রথমে আব্দুল মালেকের পরিবারকে চাকরির প্রলোভন দেখান। তারা জানান, ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সিপাহি পদে চাকরি দেওয়া হবে। এসময় একাধিক পর্যায়ে নগদ টাকা ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করেন তারা।
আবেদনের ভুয়া ভেরিফিকেশন ও নিয়োগপত্র তৈরি করে মালেককে জানানো হয় যে তার পোস্টিং কক্সবাজারের টেকনাফে হয়েছে এবং রাজশাহীতে ট্রেনিংয়ে যোগ দিতে হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ শুরু হলেও তিনি যোগ দিতে পারেননি। পরে মালেক জানতে পারেন, নিয়োগপত্র ও পুলিশ ভেরিফিকেশন দুটোই ভুয়া।
আবদুল মালেক অভিযোগে জানিয়েছেন, প্রতারণার মাধ্যমে ফিরোজ ও তার সহযোগীরা মোট ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৭টি স্ট্যাম্প ও ৭টি চেক নিয়েছেন। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি সেনা সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার মতো আর কোনো মায়ের সন্তান যেন ভুয়া নিয়োগপত্র ও ভুয়া ভেরিফিকেশনের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত না হয়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ফিরোজের মামা আতাউর উপজেলা জামায়াতের — আতাউর বলেন, এ বিষয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলাম। কিন্তুু তারা শুনছেন না। ওয়ারিশসূত্রে ফিরোজের মা কিছু জমি পাবে সেই জমি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিন্তুু তাও ওর বাবা মা রাজি হচ্ছে না।
এলাকার মুরুব্বী মাওলানা হযরত বলেন, গ্রাম্য সালিশে আমি ছিলাম। এলাকার সবাই জানে মালেকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২১লাখ ৭০ হাজার নিয়েছে। ফিরোজ সেই টাকা নেওয়ার বিষয়ে স্বীকারও করেছে। দুই মাস সময় চেয়ে ফিরোজ ও তার পরিবার টাকা আর দিচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।