
জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার মামলায় হাজিরা দিতে গেলে ফুলজোড় ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহেদ আলীসহ আওয়ামীলীগের আট নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সিরাজগঞ্জের নলকা এলাকায় ছাত্রজনতার ওপর হামলার দায়ে শামীমুর রহমানের দায়ের করা এক মামলায় রোববার সকালে আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
ফুলজোর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: শাহেদ আলী সেখ এবং নলকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকসহ ৮ জন কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ফ্যাসিস্ট
আওয়ামী সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে গত ইং ০৫/০৮/২০২৪ ইং সকাল ৯.৩০ টার সময় ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য উল্লেখিত আসামীগণ হাতে পিস্তল, রাইফেল, ককটেল, তাজা বোমা, বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র, রাম-দা, ছুরি, ড্যাগার, লোহার রড, জি.আই পাইপ, হকিষ্টিক, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার নলকা- কুটিরচর এলাকায় সড়কের ওপর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে হামলা চালিয়ে মোঃ সিহাব উদ্দিন (১৮) সহ বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে।
ওই ঘটনায় আহত সিহাব উদ্দিনের পিতা শামিম হোসেন বাদি হয়ে ভদ্রঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ও ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, নলকা ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক এবং ফুলজোড় ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাহেদ আলী ওরফে সাহেদ হোসেন সহ ৩৭ জন ও অজ্ঞাত ২০০/৩০০ জনকে বিবাদী করে
কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত ৯/২/২৫ তারিখে উপরোক্ত সহ আট আসামি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে থাকাবস্থায় রোববার সিরাজগঞ্জ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।