
নজরুল ইসলাম: সিরাজগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শিশু সাদ বাবুকে (৫) লোহার পেরেক সংযুক্ত কাঠের বাটাম দিয়ে মাথার ভিতর পেরেক ঢুকিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার ঘটনা ঘটেছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা বহুলী ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন শহিদ সুদের ব্যবসার সাথে জড়িত। টাকা পয়সা থাকার কারনে তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। শহীদ আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ার কারনে সরকার পতনে তার ঘর বাড়ী ভাংচুর করেছিল র্দুবৃত্তরা।
আজ (১১ সেপ্টেম্বর) বুধবার দেওয়া অভিযোগসূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই মাসে আগে বাড়ীর একটি খরের পালায় আগুন দেওয়ার পর তার নিকট বিচার দাবী করে আসছিল ভুক্তভোগীরা। এছাড়া এলাকার মুরুব্বীদের কাছে বিচার চেয়ে আসছিলেন। পরে বিচার চাওয়ার কারনে বিবাদীগণকে বিভিন্ন সময় মারপিট করার জন্য হুমকি দিতে থাকে। এমনি অবস্থা চলাকালীন গতকাল সকাল (১০ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১১ টার দিকে সাদ বাবু (০৫) বাড়ীর পার্শ্বে খেলাধুলা করার সময় ০২নং আসামী মোছাঃ খাদিজা খাতুন তাকে বাড়ীর সামনে ডেকে নিয়ে যায়। ০১নং আসামী সহিদ আলী মন্ডল প্রতিহিংসা বসত শিশু ছেলেকে তার হাতে থাকা লোহার পেরেক সংযুক্ত কাঠের বাটাম দ্বারা ঢিল ছুরে মারে। উক্ত কাঠের বাটাম ছেলের মাথায় লেগে মাথার ভিতর পেরেক ঢুকে প্রচন্ড রক্ত ক্ষরন হতে থাকে। এসময় ছেলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় আসামীরা পরিবারের লোকজনদের প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে ভুক্তভোগী হযরত আলী জানান।
এবিষয়ে সহিদ আলী মন্ডল বলেন, আমার ছেলের সাথে মারামারির একপর্যায়ে কাঠের বাটামের সাথে পেরেক মাথায় ঢুকে পড়েছিল পরে তারা চিকিৎসা নিচ্ছে বলে শুনতে পারছি।
ভুক্তভোগী হযরত আলী জানান, শহীদ নিজেকে আওয়ামীলীগের বড় নেতা দাবী করে এলাকায় অতীষ্ঠ করে ফেলেছে। সুদের টাকা দিয়ে অনেকেকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। কিছুদিন আগে আমার ৪০হাজার টাকা মূল্যের একটি খড়ের পালায় আগুন দিয়ে পুড়ে দিয়েছে। সেই বিচার চাওয়ার কারনে আমার ছেলেকে ঢেকে নিয়ে বাটামের সাথে পেরেক লাগিয়ে মাথায় আগাত করে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার কামনা করছি।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আইনের উর্দ্ধে কেউ নন। সুদের ব্যবসা বন্ধ করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুুত রয়েছি। অন্যায় করলে অবশ্যই শাস্তি পাবে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।