
লুৎফর রহমান: বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত নৈতিকতা ও ধমীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সরকারের একটি সফল প্রকল্প। ১৯৯৩ সালে প্রকল্পটি চালুর পর থেকে শতভাগ সফল প্রকল্প হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। মসজিদের ইমামদের সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা ও কোমলমতি শিশুদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ মূলত এই প্রকল্প চালু করে সরকার।
ইসলামিক ফাউণ্ডেশন সিরাজগঞ্জের উপ পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ জানান,প্রকল্প দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক সাধারন কেয়ারটেকার,মডেল কেয়ারটেকার ও ফিল্ড সুপারভাইজারদের মাধ্যমে সরেজমিনে পরিদর্শন করে তাদের সুপারিশে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ২৮৪ টি নৈতিকতা ও ধমীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ২২টি শিক্ষা কেন্দ্রের সম্মানী বন্ধ করা হয়।
যাদের সম্মানী বন্ধ করা হয়েছে তাদের কেউ অন্যত্র চাকুরী করেন এবং কিছু শিক্ষিকার বিয়ে হওয়া শশুর বাড়িতে অবস্হান করছেন। সম্মানি ভাতা বন্ধ হওয়া উল্লেখ্য যোগ্যরা হলেন কাওয়াখোলা ইউনিয়ন সিংনাবিল জামে মসজিদ কেন্দ্র শিক্ষক মো: মাসুদুর রহমান সিরাজগঞ্জ শহরে দর্জি দোকান পরিচালনা করেন। মোঃ আব্দুল মমিন সিরাজি শিক্ষক পুর্নবাসন মসজিদ কেন্দ্র,এই কেন্দ্রের কোন অস্তিত্ব নেই। মোঃ হাফিজুল ইসলাম শিক্ষক কাওয়াখোলা জামে মসজিদ সিরাজগঞ্জ কাপড়ের দোকান পরিচালনা করেন। মোঃ মাহবুব রহমান শিক্ষক রঘুরগাঁতী পূর্ব পাড়া জামে মসজিদ কেন্দ্র পাঠদান করেন না। উল্লেখ তার বাড়ীর পাশে তার আপন ভাবি মোছাঃ হুসনেআরা মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষায় শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন। মোঃ আব্দুল কাদের সিরাজী শিক্ষক কান্দাপাড়া পুকুরপাড় বায়তুল আমান জামে মসজিদ তাকে মসজিদ কমিটি কর্তৃক চাকুরীচ্যুত করা হয় তিনি আর গণশিক্ষা পাঠদান করেন না। মোঃ আরিফ হোসেন শিক্ষক ব্রহ্মখোলা জামে মসজিদ তিনি ঢাকা ব্রাকে কর্মরত আছেন। মোঃ হেলাল উদ্দিন শিক্ষক খোকশাবাড়ী জামে মসজিদ বর্তমান নরসিংদী জেলায় কর্মরত। মোঃ মেরাজুল ইসলাম শিক্ষক ধোঁপাপাড়া জামে মসজিদ ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন। হাফেজ শামীম হোসেন শিক্ষক কড্ডা কেষ্টপুর ভূইয়াবাড়ি বর্তমান তিনি প্রবাসী। মোঃ গোলাম মোস্তফা শিক্ষক পোটল ছোনগাছা নতুন মসজিদ কেন্দ্র তিনি দীঘদিন কেন্দ্র পরিচালনা করে না। মোঃ আব্দুল হক খান শিক্ষক মুক্তারগাতী গুচ্ছ গ্রাম জামে মসজিদ বর্তমান তিনি প্রবাসী। মোছাঃ হাফিজা খাতুন, মোছাঃ সুমাইয়া খাতুন, মোছা মরিয়ম, মোছাঃ সাদিয়া খাতুন, মোছাঃ রিমি খাতুন এসকল শিক্ষিকার বিয়ে হওয়ার দীঘদিন কেন্দ্রে অনুপস্থিত।এই সকল ত্রুটি কারণে বিধি মেনে ২২ জন শিক্ষকের সম্মানী ভাতা বন্ধ করা হয়েছে ।
সিরাজগঞ্জ জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফারুক আহমেদ বলেন, সাধারণ কেয়ারটেকার,মডেল কেয়ারটেকার,ফিল্ড সুপারভাইজার সরেজমিনে পরিদশন করে ২২টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ তালিকা দেন এবং তাদের সম্মানী বন্ধ সুপারিশ করেন।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জন শিক্ষকের সম্মানী ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । যার ফলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নামে কয়েকটি আলনাইন পএিকা ও স্হানীয় পত্রিকা এবং জাতীয় পত্রিকা মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেন। তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।