নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চারটি দোকান ভাড়া নিয়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার ভদ্রঘাট বাজারে শহিদুল ইসলামের ক্রয়কৃত ২ শতকের উপর নির্মিত চারটি দোকান ভাড়া নিয়ে তা জোরপূর্বক দখলে নিয়েছেন একই এলাকার মৃত এশারত আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান খান (৬০), হাজী মোদাচ্ছের আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৩৫) ও মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ আল রৌহা।
জমি ও দোকানের মালিক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ধুকুরিয়া শেখ পাড়া গ্রামের মৃত কালু শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও তার কোন প্রতিকার মিলছেনা।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ২৬ জুন দলিল সূত্রে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী আফরোজা বেগম কাছ থেকে নির্মিত দোকানসহ ২ শতক জমি আমার স্ত্রী শাহিদা বেগমের নামে ক্রয় করি। তারপর ওই বছরেই আমার স্ত্রীর নামে নামজারি করে প্রত্যেক বছর খাজনা প্রদান করে আসছি।
একই সঙ্গে নিয়মিত ভাড়া আদায় করে ভোগদখল করে আসছিলাম। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সাল থেকে আব্দুল মান্নান খান, আব্দুর রহিম ও আব্দুল্লাহ আল রৌহা দোকান ভাড়া নেয়ার নামে দখলে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আব্দুল মান্নান খানের ছোট ভাই আব্দুল আলীম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান খান বলেন, ওই দোকান চারটির ভাড়া আফরোজার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রৌহা ও তার মেয়ে লতা খাতুন আদায় করে। এটা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলাও চলছে।
দোকান দখলের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল রৌহার বোন লতা খাতুন বলেন, শহিদুল ইসলাম আমার মা আফরোজাকে ব্ল্যাকমেইল করে জায়গাটি দলিল করে নিয়েছে। এজন্য আমার বাবা জমি ফেরত পাওয়ার জন্য প্রিয়েমশন মামলা করেছিল। পরবর্তীতে তিনি মারা যাওয়ায় মামলাটি নিয়ে আমরা লড়ছি। কিন্তু সেটা তারা ডিক্রী পাওয়ায় আমরা উচ্চ আদালতে গিয়েছি। তবে সেটার চূড়ান্ত আদেশ এখনও হয়নি।