
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবন ২০২৫ সালের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় জেলা বিএনপির নেতাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ওইদিন গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির স্থানীয় নেতারা ভবনে প্রবেশ করে কার্যত চেম্বারের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করে দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চেম্বারের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হয়। পরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করে ভবনটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন।
এই পরিস্থিতির কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন চেম্বার ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় চেম্বারের উন্নয়ন থেমে যায় এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে ওঠেনি। তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হয়। চেম্বারের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে পরবর্তীতে ব্যবসায়ী নন—এমন কয়েকজনকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যার সংখ্যা ৭৬।
এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা আসন্ন দ্বিবার্ষিক নির্বাচনকে চেম্বারের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার সুযোগ হিসেবে দেখছেন। আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অর্ডিনারি গ্রুপে প্রেসিডেন্ট পদে ২ জন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ৩ জন, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ২ জন এবং পরিচালক পদে ১৪ জনসহ মোট ৪৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ গ্রুপে ৪৩৮ ভোটার ভোট দেবেন। অ্যাসোসিয়েট গ্রুপে ভাইস প্রেসিডেন্ট, পরিচালক ও গ্রুপ মেম্বার পদে মোট ৮টি পদে ভোট দেবেন ৬৮ জন।
চেম্বার ভবনকে রাজনৈতিক ব্যবহার থেকে মুক্ত করে পুনরায় ব্যবসায়ীদের কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে তারা সংগঠিত হচ্ছেন। ভোটারদের উৎসাহে কয়েকজন জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ী প্যানেল গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের মতে, চেম্বারের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরুদ্ধার এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবসাবান্ধব করতে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চেম্বারের ভবিষ্যৎ প্রশাসন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে নির্বাচন ঘিরে আগ্রহ ও আলোচনা বাড়ছে। তাদের প্রত্যাশা, নির্বাচনের মাধ্যমে চেম্বার ভবন স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনায় ফিরে আসবে এবং ব্যবসা উন্নয়নের পরিবেশ পুনর্গঠিত হবে।











