জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জ জেলা জজ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দু’বছর আগে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জেলা জজের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র, আইনজীবি ও জেলা বিএনপির নেতৃবিন্দু মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালত চত্বরে বিক্ষোভে শেষে বক্তারা বলেন, পরীক্ষার হলে পরীক্ষা না নিয়ে, নিয়োগ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকরা নিজেদের খাসকামরায় পছন্দের পরীক্ষার্থীদের বসিয়ে ‘গোপন পরীক্ষা’ নিয়েছিলেন। সেই ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলাকে অগ্রাধীকার না দিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিছুল হকের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দাদের প্রার্থীদের অগ্রধিকার দিয়ে কারচুপির মাধ্যমে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যা নিয়ে এখন সাংবাদ কর্মীরা প্রতিবেদন করেছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাত ভুক্তভোগী সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। তারা আরো বলেন চাকরিপ্রাপ্তদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কশবা উপজেলার রয়েছে ২২ জন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজগঞ্জ জেলার প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলা ছিল। কিন্তু পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রার্থীরা যাতে বেশি নম্বর পেতে পারেন, সেজন্য বিচারকদের খাসকামরায় বসিয়ে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ক্ষমতার বলে এই দুর্নীতির নেপথ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তৎকালীন আইন সচিব এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজের হাত রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ্য করেন বক্তারা। তারা দ্রুত এই নিয়োগ বাতিলসহ বর্তমান জেলা ও দায়রা জজের পদত্যাগ দাবি করেন।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী আইনজীবি ফোরামের আহব্বায়ক এ্যাড. নাজমুল হোসেন, এ্যাড. রফিক তালুকদার, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বাচ্চু, বিএনপি নেতা মির্জা মোস্তফা জামান, নুরে কায়েস সবুজ, নাজমুল হাসান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুনর রশিদ খান হাসান, আনোয়ার হোসেন রাজেসসহ ছাত্ররা।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.