প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৯, ২০২৫, ৮:৫৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১৮, ২০২৫, ৯:৩২ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টিসিবির কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড ও টিসিবির কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. হযরত আলী নামের এক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে। হযরত আলী সদর উপজেলার ৪নং শিয়ালকোল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।'
জানা গেছে, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলায় তালিকা তৈরি করে কার্ডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। তালিকা তৈরি করে ক্রেতার ফরম পূরণের কাজ শেষ হলে উপকারভোগীদের টিসিবি কার্ড সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)। সদস্যদের। সেই সুযোগে ৪নং শিয়ালকোল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হযরত আলী সুবিধাভোগীদের কার্ড জিম্মি করে। কার্ডের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির নিকট থেকে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা অর্থ আদায় করছেন বলে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী শিয়ালকোল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সারটিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, আমার স্ত্রীর নিকট থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দেবার আশ্বাসে ৬ হাজার টাকা নেন। তিনি আরো বলেন, সারটিয়া, রাজাখার চর, বড়হামকুড়িয়া গ্রামের বেশকিছু লোকের নিকট থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতা জন্য ৪/৫ হাজার টাকা নিয়েছে।'
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইউপি সদস্য মো. হযরত আলী তাদের মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দেবার আশ্বাসে তাদের নিকট থেকে চার হাজার আবার কারো নিকট থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। বিনিময়ে তাদের কোন কার্ড করে দেননি ওই ইউপি সদস্য।
তারা আরও জানান, শুধু তাই নয় মো. হযরত আলী একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে টিসিবির পন্যের কার্ড দেওয়ার সময় ৫’শ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়ে কার্ড নেয়। মো. হযরত আলীর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।'
ইউপি সদস্য মো. হযরত আলী জানান, আমার ওয়ার্ডের মোট ১৪০টি কার্ড বরাদ্দ ছিলো। আমি মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড বা টিসিবি পণ্যের কার্ড বাবদ কারো নিকট থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়নি। আমাকে একটি কুচক্রী মহল সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি মিথ্যা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ (ফেসবুকে) ছেড়ে দিয়েছে।'
এ বিষয়ে শিয়ালকোল ইউনিয়নের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার সাদাত বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী কেউ এ বিষয়ে যদি অভিযোগ করে তাহলে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অবগত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এই বিষয়ে যদি কেই অভিযোগ দেয় তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রামানিত হলে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.